বিএনপির রোডমার্চের মাইক্রোবাসে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দলীয় রোডমার্চে যাওয়ার পথে নাটোরে বিএনপির কর্মীদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস আটকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে একদল যুবক।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকালে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ডালসড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁদের হামলায় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
আহতরা হলেন জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক জুয়েল হোসেন ও লালপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাবিল হোসেন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আহত আরও অন্তত ছয়জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পোড়া মাইক্রোবাসটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনার রশীদ পাপ্পু বলেন, নওগাঁ ও রাজশাহীতে দলীয় রোডমার্চে যোগ দিতে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তখন সেখান থেকে আমাদের কর্মীরা ফোনে জানায় যে, অগ্নিসংযোগকারীরা তাঁদের গন্তব্যস্থল ও যাত্রার কারণ জানতে চান। কৌশলে তাঁরা জবাব দেন যে, একটি বিয়ের জন্য কনে দেখতে যাচ্ছেন। তবে তাঁরা রোডমার্চে যাচ্ছেন বলে সন্দেহ হলে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঘটনাটি জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনা আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, লালপুর উপজেলার নেতারা ওই গাড়িতে ছিলেন। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেই হামলাকারীরা ক্ষান্ত হননি, যুবদল নেতা জুয়েলকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ সময় লালপুরের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাবিলকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কারা আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের কাছে তা আবার স্পষ্ট হলো।
পোড়ানো মাইক্রোবাসের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাইক্রোবাসের চালক শাহীন ফোন করে গাড়িতে আগুন দেওয়ার কথা জানায়। আমি দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখি, গাড়িটি ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কারা আগুন লাগিয়েছে তা আমি দেখিনি। কিন্তু লোকজনের কাছে শুনেছি, বিএনপি ভেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। তাদের যে গাড়িকে সন্দেহ হয়েছে, সে গাড়িরই পথরোধ করেছে।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে জানাব।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এমন খবরে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভায়। এ সময় অগ্নিসংযোগকারী বা আহতদের কাউকে পাওয়া যায়নি। গাড়িটি রাস্তায় পড়ে থাকায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল। পুলিশ গাড়িটি সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য