কলকাতার কাছে হেরে শীর্ষস্থান হারাল চেন্নাই
প্লে-অফ নিশ্চিত করতে চাই আর দুটি জয়। ইডেন গার্ডেনে আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে কাজটা এগিয়ে রাখতে চেয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু অপেক্ষা বাড়ল মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। ঘরের মাঠে চেন্নাইকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল দীনেশ কার্তিকের দল। পাশাপাশি শীর্ষস্থান থেকে চেন্নাইকেও তাঁরা নামিয়ে আনল টেবিলের দুইয়ে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছিল চেন্নাই। তাড়া করতে নেমে
কলকাতা কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই জয়ের আভাস পেয়েছে। ওই যে ক্রিকেটের সেই বহুল
প্রচলিত কথা ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’! চেন্নাইয়ের ক্ষেত্রে তো সেটাই ঘটল।
দলটির পেসার পেসার কেএম আসিফের সেই ওভারের শেষ দুই বলে সুনীল নারাইন টানা
দুবার ‘জীবন’ পেয়েছেন! এই দুইবারই ফিল্ডার ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
নারাইন
দুবার ‘জীবন’ পেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ২০ বলে ৩২ রান করে আউট হলেও
কলকাতার ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন। দল জেতানোর আসল কাজটা সেরেছেন শুভমান
গিল ও অধিনায়ক কার্তিক। ১২তম ওভারে গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন কার্তিক।
সেই ওভার শেষে জয় থেকে ৪৮ বলে ৭৭ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল কলকাতা। ১৬তম
ওভার শেষে তা নেমে আসে ২৪ বলে ২৩ রানের সহজ দূরত্বে। এরপর জয়ের বাকি
কাজটুকু সহজেই সেরে নেন দুজন।
পঞ্চম উইকেটে ৩৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন
গিল ও কার্তিক। ১৮ বছর বয়সী গিল ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পথে তুলে নিয়েছেন
আইপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি। ৩৬ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই তরুণ। ২
ছক্কা ও ৬ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। অন্যপ্রান্তে ১৮ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত
ছিলেন কার্তিক।
কলকাতার এই জয়ে সুবিধা হলো সাকিব আল হাসানদের
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ৯ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করা চেন্নাই এই
হারে শীর্ষস্থান থেকে নেমে আসল টেবিলের দুইয়ে। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট
নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ফিরল সানরাইজার্স। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও নেট
রানরেটে চেন্নাইয়ের (০.৩৫৪) থেকে সানরাইজার্স (০.৫১৪) এগিয়ে। ৯ ম্যাচে ১০
পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে কলকাতা।
এর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটে ভর
করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল চেন্নাই। জুলাইয়ে সাঁইত্রিশে পা রাখবেন ধোনি।
আইপিএল ক্যারিয়ারের বয়স বেড়ে চলার সঙ্গে যেন আরও চওড়া হয়ে উঠছে চেন্নাই
অধিনায়কের ব্যাট। এবারের টুর্নামেন্টে যেমন রান করেই চলছেন। এ পর্যন্ত ৯
ম্যাচ খেলে যে তিনটি ফিফটি তুলে নিয়েছেন তার সব কটিতেই অপরাজিত (৭৯*, ৭০* ও
৫১*)।
ধোনি আজও হয়তো ফিফটি তুলে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ওভার না
থাকায় চতুর্থ ফিফটি না পেলেও মাঠ ছেড়েছেন ২৫ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস
খেলে। শেষ দিকে ধোনির ঝড়েই ৫ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছিল চেন্নাই। ৪ ছক্কা ও ১
চারে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন ধোনি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য