দুদকের উপপরিচালক হলেন আকতারুল
-আনোয়ারা খাতুন শেফালী।।
নাটোরের লালপুরের কৃতী ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস-বিসিএস তথ্য (সাধারণ) ক্যাডার সদস্য মো. আকতারুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জনসংযোগ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমান তিনি
সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৩০ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণযোগাযোগ-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত পরিপত্রে সিনিয়র তথ্য অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পান।
মো. আকতারুল ইসলামের এই সফলতায় দৈনিক প্রাপ্তি প্রসঙ্গ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
লালপুর উপজেলার সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ছাত্র এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস-বিসিএস তথ্য (সাধারণ) ক্যাডারের প্রথম সদস্য মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি নাটোরের লালপুরের রঘুনাথপুর গ্রামে ১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন মো. আকতারুল ইসলাম। পিতা মো. আমির আলী সরকার ও মাতা কহিনুর বেগম গৃহিণী। বাবা-মার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট দু'টি ভাই। স্ত্রী শামীমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান সহকারী হিসেবে আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর ঢাকায় কর্মরত। তিনি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স এবং মাষ্টার্স করেছেন। মেয়ে আনিসা আনজুম আবৃত্তি, ভিকারুন নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে এবং ছেলে সাফওয়ান ইয়াসির সাহিত্য, তেজগাঁও নুরানি মাদ্রাসায় হাফেজিয়ার ছাত্র।
তিনি রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৬ সালে পঞ্চম শ্রেণী, পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে সামাজিক বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজ থেকে মানবিক শাখায় প্রথম বিভাগে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৯৯৭ সালে (অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর ১৯৯৯) দ্বিতীয় শ্রেণীতে অনার্স এবং ১৯৯৮ সালে (অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর ২০০০) দ্বিতীয় শ্রোণীতে মাষ্টার্স পাস করেন। লালপুর উপজেলায় তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সাংবাদিকতায় মাষ্টার্স করেন।
তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দিনাজপুর প্রকল্প দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে কিছুদিন চাকুরি করে পরে পিএসসির মাধ্যমে ২০০৬ সালে তথ্য অধিদফতর-পিআইডিতে সহকারী তথ্য অফিসার যোগদান করেন। প্রথম পদায়ন ছিল তথ্য অধিদফতরের আঞ্চলিক তথ্য অফিস রাজশাহীতে। সেখান থেকে ২০০৯ সালে তথ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকায় চলে আসেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পিআইডি প্রোটোকল শাখা দায়িত্ব পালন করেন। প্রোটোকলে দায়িত্ব পালনের সুবাদে জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে এবং ডিআরইউ সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তথ্য অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে বিসিএস তথ্য (সাধারণ) ক্যাডার তালিকভুক্ত হন। কিছুদিন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে (মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে) দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০২২ সালে ৩০ মে সিনিয়র তথ্য অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তথ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
তিনি বর্তমানে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক। জার্নালিজম এ্যালামনাই ফোরাম অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটির (জাফরু) অর্থ সম্পাদক। লালপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকার প্রচার সম্পাদক এবং ঢাকাস্থ নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা।
সাম্প্রতিক মন্তব্য