logo
news image

যেসব কথা বসকে কখনোই বলবেন না

বসের সঙ্গে কথা বলার সময় পেশাগত ব্যাপারটি আপনার খেয়াল রাখা উচিত। ভুল কিছু বলে ফেললে আপনার চাকরির যেকোনো প্রকার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এ প্রতিবেদনে ৯টি বিষয় তুলে ধরা হলো, যা আপনার অফিসের বসকে কখনো বলা উচিত নয়।

  • আপনার ব্যস্ততা প্রকাশ করবেন নাআপনার বস আপনাকে কিছু করতে বললে সেটাকে না বলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনি চরম ব্যস্ত থাকলে কোন কাজটা আগে করবেন সেটা আপনার বসের ওপর ছেড়ে দিন। তাতে করে আপনার বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ পাবে এবং আপনার বস আপনার ওপর খুশি থাকবেন।
  • গা বাঁচাতে অন্যের দোষ দেবেন নাঅন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়া খুবই বাজে অভ্যাস এবং এটা অনেকটা শিশুসুলভ আচরণ। আপনি যদি নির্দোষ হন তাহলে সেটা আপনার বসকে বুঝিয়ে বলুন। তার মানে এই নয় যে, আপনি অন্যদের বলির পাঠা বানাবেন; যদি সেখানে সত্যিই আপনি দোষী হয়ে থাকেন। আপনার বস যদি দেখেন যে আপনি প্রায়শই কারো না কারো দিকে আঙুল তোলেন, তাহলে আপনার বস আপনার প্রতিই অসন্তুষ্ট হবেন।
  • নতুন চাকরি খোঁজার কথা বলবেন নাএকটি অফিসের সকল কর্মীই জানেন যে একটা সময় পরে তাদের সঙ্গের কোনো কর্মী নতুন চাকরি খুঁজবে। কিন্তু এই ব্যপারটা আপনার সহকর্মীদের এবং বসের জানার মধ্যে ঢের পার্থক্য আছে। আপনার বস যদি জানতে পারেন যে আপনি মনেপ্রাণে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে এটা তার গালে থাপ্পর মারার মতো হবে। নতুন চাকরি পাওয়ায় পর ২ সপ্তাহের নোটিশ দিয়ে তাকে অবগত করা এক্ষেত্রে উত্তম।
  • কোনো কাজে আপনার অপারগতার কথা বলবেন নাআপনার বস আপনাকে কোনো কাজ করতে বললে আপনি যদি সত্যিই না জানেন তা কিভাবে করতে হয় তাহলে সেটা তার মুখের ওপর কখনো বলবেন না। আপনি আপনার বসকে শুরুটা কিভাবে করবেন সেটা জিজ্ঞেস করতে পারেন, অথবা কোনো সহকর্মী বা ইন্টারনেট থেকে শিখে নিয়ে কাজ করতে পারেন। এর ফলে আপনার বস খুশি হবেন এবং মনে করবেন যে, আপনার মধ্যে একগুঁয়েমি কম এবং আপনি শিখতে আগ্রহী।
  • বেতন বাড়ানোর কথা বসকে বলবেন নাএমন নয় যে বসের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে আপনি কথাই বলবেন না। তবে বেতন নিয়ে দরাদরি এবং ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে বেতন বাড়ানোর কথা কখনও বলবেন না। এতে আপনার বস কোনোরকম প্রভাবিত হবেন না। আপনি বেতন বাড়ানোর কথা বসকে বলতে গেলে অফিসে আপনার কাজ, আপনার অর্জনগুলো, আপনার কর্মদক্ষতা নিয়ে কথা বলুন। ব্যক্তিগত সমস্যা টেনে আনবেন না।
  • পুরাতন বসের সঙ্গে নতুন বসের তুলনা করবেন নাআপনাকে যদি আপনার অবস্থানের পুরাতন কারো সঙ্গে তুলনা করে কোনো কথা বলা হয় তাহলে আপনার নিশ্চয় খারাপ লাগবে। আপনার বসের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই। উপরন্তু আপনার বস মনে করবেন আপনি নমনীয় নন, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না এবং পরিবর্তন পছন্দ করেন না। তাছাড়া আপনি যে জমাটবাধা বুদ্ধির মানুষ এটা তার বুঝতে বাকি থাকবে না। এর ফলে নিত্যনতুন কাজ আপনার হাতছাড়া হয়ে যাবে কেননা আপনার বসের ধারণা আপনি হাওয়া পাল্টালে নিজে পাল্টাতে পারেন না।
  • আগে আগে বের হওয়ার কথা বসকে বলবেন নাসত্যিই যদি আপনার কোনো সমস্যা থেকে থাকে সেটা এক ব্যাপার। যেমন: ডাক্তার দেখানো। কিন্তু অফিসে কোনো কাজ নেই বলে বসকে কখনও চলে যাওয়ার কথা বলতে যাবেন না। যেসকল কর্মীরা নতুন নতুন কাজে উৎসাহী হয় তাদেরকে বস অনেক পছন্দ করেন। সুতরাং অফিসে কোনো কাজ না থাকলে নতুন নতুন কাজ সম্বন্ধে খোঁজ নিন।
  • আপনার বিষন্নতা প্রকাশ করবেন নাআপনার কাজের জন্য আপনাকে বেতন দেওয়া হয়। সুতরাং আপনার বিষন্নতা দূর করার দায়িত্ব আপনার বসের নয়। নিজের বিষণ্ণতা প্রকাশ না করে নিত্য নতুন কাজে সহযোগিতা করুন এবং আপনার বসকে আরো কাজ দেওয়ার কথা বলুন।
  • আপনার ক্লান্তির কথা বলবেন নাআপনি হয়তো আপনার বসের খুব কাছের মানুষ হয়ে গেছেন এবং তার সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে উঠেছে। তার মানে এই নয় যে, কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আপনি তাকে মন খুলে বলে দেবেন। আপনি যদি যেখানে সেখানে ৫ মিনিট, ১০ মিনিট করে দেরী করেন তাহলে বসের জবাবদিহিতার মধ্যে পড়বেন। আপনার ব্যক্তিগত ক্লান্তির কোনো স্থান সেখানে নেই কেননা আপনি বেতনভুক্ত কর্মচারী। দিনশেষে আপনার মনে রাখা উচিত যে, আপনার বসই একমাত্র ব্যক্তি যার মাধ্যমে আপনি বেতন, পদোন্নতি এবং বোনাস পেয়ে থাকেন।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top