logo
news image

মেহেরপুরের নতুন ডিসি মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম শামীম।
সোমবার (৩ এপ্রিল ২০২৩) তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিউজা-উল জান্নাহ,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ হেল কাফি, রনি খাতুন, গোলাম রাব্বানী রিফাত জাহান প্রমুখ।
এর আগে গত ১২ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামকে মেহেরপুরের ডিসি হিসেবে পদায়ন করা হয়।
মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম মেহেরপুর জেলাবাসীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নামাঙ্কিত মুজিবনগরখ্যাত ঐতিহাসিক মেহেরপুর জেলায় আজ ০৩.০৪.২০২৩ তারিখে আমি জেলাপ্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছি। প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক হিসেবে ঐতিহাসিক মেহেরপুর জেলায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ দানের জন্য জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন এমপি মহোদয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মেহেরপুর জেলার সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন পেশার সম্মানিত পেশাজীবীবৃন্দ, সুধীবৃন্দ সর্বোপরি এ জেলার সকল জনসাধারণকে নিয়ে আগামী দিনের সুন্দর ও ‘স্মার্ট মেহেরপুর’ গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবো। জেলা প্রশাসন, মেহেরপুরের সকল কাজে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম শামীমের পরিচিতি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট) সমাজকর্ম বিভাগের অমায়িক, ভদ্র, মনোমুগ্ধকর ও পরোপকারী শিক্ষার্থী হবিগঞ্জের সদর উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম শামীম।  গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন।  স্কুলজীবনের  স্কাউট লিডার সাস্টের শিক্ষা জীবন শেষে  ২৫তম বিসিএস-এর মাধ্যমে ২০০৬ সালে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কক্সবাজারে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ট্রায়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট, এনডিসি, আরডিসি, জিসিও এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে গোয়াইনঘাট, সিলেট এবং নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাকুরীরত ছিলেন। ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় বৃক্ষরোপন পদক লাভ করেন। ২০১৬ সালে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হন। এছাড়া সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৫ জন সিনিয়র সচিব/সচিবের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে উপসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালনরত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাভারে অনুষ্ঠিত সকল বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এ প্রথম দশ জনে স্থান লাভ করায় ভারত, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর ও অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। যুক্তরাজ্য থেকে ডিস্টিংশনসহ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি  ২৫তম বিসিএস প্রশাসন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে তিনি ২৫তম বিসিএস অল ক্যাডার ফোরামের কার্যিনির্বাহী কমিটির সদস্য।
সাস্ট সমাজকর্ম এলামনাই এসোসিয়েশনের পর পর তিন বারের  সাধারণ সম্পাদক। শাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় সমাজকর্ম সমিতির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বছর পূর্তিতে ২০১৭ সালে পূনর্মিলনীর কনভেনার ছিলেন।  এছাড়া অত্র  বিশ্ববিদ্যালয়কে, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অন্তর্ভূক্তিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এজন্য সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। বর্তমনে তিনি সাস্ট ক্লাব লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top