সিলেট রেঞ্জে ডিআইজি শাফিউর রহমান
ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
নাটোরের লালপুরের কৃতী শাহ মিজান শাফিউর রহমান অনু সিলেট রেঞ্জের নতুন ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি যোগদান ও ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শাহ মিজান শাফিউর রহমান অনু অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘এজন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করি। তাঁর অবদান ও অনন্য নেতৃত্বের কারণে আমরা পদোন্নতি পেয়েছি। আমি সর্বদা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংস্থাপন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমাদের মহান নেতার স্বপ্নের মতোই আমি জনগণের জন্য কাজ করব। সততা, নিষ্ঠা আর স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশের জন্যে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমাদের কাজে কর্মে প্রেরণায় তা প্রমাণ করতে হবে।’
নাটোর জেলার লালপুর থানার মুরদহ গ্রামে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহ মিজান শাফিউর রহমান অনু, বিপিএম (সেবা), পিপিএম (সেবা)। তাঁর বাবা শিক্ষক মরহুম হাফিজুর রহমান ও মা নাজনীন বেগম। তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান রাফিউর রহমান, নটেরডেম কলেজ ও সাথিকা সাইয়ারা, অষ্টম শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুলে অধ্যয়নরত।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগ থেকে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ডিআইজি, অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক পদে রংপুর রেঞ্জে, একই পদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-তে কর্মরত ছিলেন। ২০০১ সালের ৩১ মে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন তিনি। এরপর কর্মদক্ষতা ও সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের বিপিএম (সেবা), পিপিএম (সেবা) পদক লাভ করেন পুলিশের ২০তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা।
তিনি পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব নিয়েই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি তা টেকসই করায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। ইতোমধ্যে কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে কর্মস্থলে এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। লক্ষীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাদক, সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন। অত্যন্ত বিনয়ী, সৎ আর সাহসী কর্মকর্তা হিসেবে সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। জনসাধারণের মাঝে আস্থা এবং নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়, বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বাজারগুলোতে জনসাধারণের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নিয়মিত মতবিনিময় সভা করেছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণ করে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক এবং ইভটিজিং-এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করেন। তিনি মাদক থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন খেলাধূলাসহ মাদক বিরোধী কনসার্টের আয়োজনও করেন। জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে রয়েছে তাঁর শক্ত অবস্থান। এছাড়াও শুধুমাত্র ব্যাংক চালান বাবদ খরচ মাত্র ১০০ টাকায় ঢাকা জেলা পুলিশে কনেস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) থেকে শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৬ সালের ১৬ জুন। এর আগে কেবল সততা আর সাহসকে আশ্রয় করেই সন্ত্রাসের জনপদ বলে পরিচিত ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের গডফাদারদের রাজত্ব ভেঙে দিয়ে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে পথে এনে আলোচনায় আসেন।
নিজস্বতা আর স্বকীয়তায় আবারো ‘টিম ঢাকা জেলা পুলিশকে’ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন পুলিশ সুপার শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান। এতে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।
স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত করতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। স্বাধীনতার চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি দিনটিকে আরো তাৎপর্যময় করতে বর্ণাঢ্য আয়োজন নিয়ে দেশবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছিল ঢাকা জেলা পুলিশ। বিস্তৃত পরিসরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রান্তজনে ছড়িয়ে দিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দু’পাশে স্থাপন করা হয়েছিল ২৬৪ ফুট দৈর্ঘ্যের ২৮ টি দৈত্যাকৃতির (জায়ান্ট) এলইডি টেলিভিশন। যাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে প্রচারিত হয় মুক্তিযুদ্ধের দূর্লভ ইতিহাস সমৃদ্ধ আলোকচিত্রসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ। ব্যতিক্রমী কাজের মধ্যে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধের গৌরবময় স্বাধীনতা মঞ্চে শেরপুর জেলার পাঁচজন বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬০ জন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা। সততা, নিষ্ঠা, সাহস, পেশাদারিত্ব আর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে নিজ বাহিনীতেই শাহ মিজান শাফিউর রহমান নিজেকে পরিচিতি করেছেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে। তবে নিজের পেশাগত কাজে দেশবাসীর কাছেও সমানতালে প্রশংসিত তিনি। বৃটিশ আমল থেকে এ পর্যন্ত ৯২তম পুলিশ সুপার ও স্বাধীনতা পরবর্তী ৩১তম পুলিশ সুপার হিসেবে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা জেলায় যোগ দেন নাটোরের সন্তান শাহ মিজান শাফিউর রহমান। সুগঠিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাহিনীর সদস্যদের মর্যাদা দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বাড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে। জেলা পুলিশে প্রয়োজনীয় সংস্কার আর পেশাদারিত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জেলা পুলিশকে করেছেন গতিশীল। বেশকিছু অপরাধকে নামিয়ে এনেছেন শুণ্যের কোঠায়। আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে নিজের ভূমিকা আর কৃতীত্বের জন্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ প্রথম রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে বঙ্গবন্ধুর আহবানে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধ করেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। সেই গৌরবময় বাহিনীর উত্তরসুরী হিসেবে আমাদের দায় রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো শাণিত করা। তাই পেশাগত গন্ডির বাইরে বাইরে আমরা দেশত্ববোধকে সামনে রেখে জাতির সূর্য্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই পদক্ষেপ। এ ছাড়াও ঢাকা জেলার সাত থানা থেকে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়া ৯ জন পুলিশ সদস্যকেও সংবর্ধিত করা হয় এই অনুষ্ঠানে।
২০১৮ সালে বিজয় দিবসে শাহ্ মিজান শাফিউর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধান আর নির্দেশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের দূর্লভ আলোকচিত্রের সমাহারে ঢাকা জেলা পুলিশ প্রকাশ করে নান্দনিক প্রচ্ছদ আর অলংকরনে সজ্জিত স্মারকগ্রন্থ ‘গৌরবময় স্বাধীনতা’। মুক্তিযুদ্ধের অজানা ঘটনাচিত্র, দূর্লভ ইতিহাস সমৃদ্ধ ৩৪০ পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই গ্রন্থটি হাতে পেয়ে শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিসহ নানা মহলে প্রশংসিত হয় জেলা পুলিশের অসামান্য এই উদ্যোগ। পুলিশের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা ২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে দিনাজপুর জেলা, সিএমপি, র্যাব, এসবি ও যশোর জেলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। রংপুর রেঞ্জে ১৯/০৭/২০২০ খ্রি. হতে অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দু’বার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ‘জাতিসংঘ শান্তি পদক’। পুলিশ সুপার হিসেবে লক্ষীপুর জেলায় সন্ত্রাস ও গডফাদার দমনে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার স্বাক্ষর রাখা শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগে উপ-পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পালন শেষে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন ঢাকা জেলায়। তিনি যা করে যাচ্ছেন তা পরবর্তীতে হয়ে উঠবে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এমন অসংখ্য প্রয়াস আজ সাড়া ফেলেছে সমাজে। এর ফল পেতে শুরু করেছেন ঢাকা জেলাবাসী।
২০২২ সালে ১১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) হিসেবে পদোন্নতি পান শাহ মিজান শাফিউর রহমান। বর্তমান এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
২০১৬ সালের দিকে আপন পাঁচ ভাই (হাবিবুর রহমান, আনিসুর রহমান, আ ন ম রশিদুর রহমান, এ কে এম সাইদুর রহমান ও শাহ মিজান শাফিউর রহমান) মিলে পিতা-মাতার নামে ‘হাফিজ-নাজনীন ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন শাহ মিজান শাফিউর রহমান। শুধু বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নয়, মুরদহ গ্রামের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি রাখছে ব্যাপক অবদান।
জনকল্যাণমুখী এই প্রতিষ্ঠানটি কুয়েতি ট্রাস্টের সহায়তায় নির্মাণ করেছে ২০টি মসজিদ। গ্রামের মানুষদের সুপেয় পানির জন্য স্থাপন করেছে ৫০০টি নলকূপ। এ ছাড়া দুইতলা মাদরাসা, স্কুল সংস্কার এবং বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছে এই ফাউন্ডেশন। গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
হাফিজ-নাজনীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গ্রামে ১০টি সেলাই মেশিন বসিয়ে আউটলেট তৈরি করা হয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফাউন্ডেশন নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। প্রতি বছর গ্রামের অতি দরিদ্র ও অনগ্রসর ৩০ জন শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি।
২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী তাঁর প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘হাফিজ-নাজনীন ফাউন্ডেশন’ প্রচারণার উদ্যোগ নেয়।
লালপুরের মুরদহ গ্রামে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ছবিসহ ইতিহাস তুলে ধরেন। প্রত্যন্ত গ্রামটিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, চর্চা, সাহসীকতা ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা হয় আলোকচিত্রের মাধ্যমে।
মুরদহ গ্রামের ঘরের দেয়ালে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধুর অমর সব কর্মযজ্ঞ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নানান ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। আর এসব অমর কাহিনী দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন লোকজন। সন্ধ্যার পর লাইটের আলোয় ফুটে ওঠা এসব ছবিতে চোখ বুলিয়ে দর্শনার্থীরা জেনে নেন মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস। হাফিজ-নাজনীন ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগ সবখানে প্রশংসা কুড়ায়।
সততা, নিষ্ঠা আর স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশের জন্যে আমাদের যে অনেক কিছু করার আছে, আমাদের কাজে কর্মে প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে প্রমাণ করেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য