logo
news image

বৃষ্টিতে ইটভাটা মালিকদের নাভিশ্বাস

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে বৃষ্টিতে ইটভাটাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দফায় বৃষ্টি মালিকদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতিতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সন্ধ্যা থেকে মৌসুমে তৃতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়।
সরেজমিনে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, মোমিনপুর, বিলমাড়িয়া, কচুয়া, সালামপুর, আব্দুলপুর, বালিতিতা, মঞ্জিলপুকুর, পালিদেহা, চামটিয়া, কাজিপাড়া, নাবিরপাড়া, পাইকপাড়া, বাকনাই, ধানাইদহপাড়া, গৌরীপুর, কদিমচিলান, গোধরা এলাকার ইট ভাটায় দেখা যায়, রোদে শুকাতে দেওয়া কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির পানির নিচে ডুবে আছে। এ ছাড়া আগুনে পোড়ানোর আগে শুকানো সারিবদ্ধ করে রাখা ইটগুলোও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভিএসএল ইটভাটার মালিক মো. খায়রুল বাসার ভাদু বলেন, বৃষ্টির কারণে তার ভাটার প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার ইট নষ্ট হয়েছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। কয়লার দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ আর শ্রমিক ও মাটির দামও বেশী এত কিছুর মধ্যেও ভাটাগুলো সচল রেখেছেন। কিন্তু বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এ পরিস্থিতিতে এ বছর আর ভাটা চালু রাখা সম্ভব হবে না।
রামকৃষ্ণপুরের এমএইচকে ভাটার মালিক মো. আবু বকর সিদ্দিক পলাশ বলেন, ইটভাটা ব্যবসায় বিপর্যায়ে মালিকদের পাশাপাশি প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এতে চরম হতাশায় দিন পার করছেন।
ইটভাটার শ্রমিক আব্দুল মজিদ বলেন, প্রতিবছর নভেম্বরের আগে থেকে ইট পোড়া মৌসুমে চার-পাঁচ মাস কাজ করে সারা বছর সংসার চলে। অভাবের সময় কাজ করে পরিশোধের চুক্তিতে ভাটার মালিকদের কাছ থেকে অনেকেই অগ্রিম টাকা নেন। এ বছর ঠিকভাবে ভাটা না চলায় সে টাকা পারিশোধ হবে না। পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ায় চিন্তায় রয়েছেন।
ঠিকাদার ও ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. হাসেম আলী বলেন, মৌসুমের শুরুতে আমদানি করা কয়লার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেরিতে ইটভাটা চালু হয়। অবকাঠামো নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ইটের বাজারে প্রভাব পড়ে। উপজেলার ৩৬টি ভাটা মালিকরা বিপাকে পড়েন। কর্মরত প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেক ভাটা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তার উপর কয়েক বারের বৃষ্টিতে ইটভাটা মালিকদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
লালপুরের কয়লা সরবরাহকারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমদানিকৃত কয়লার দাম বাড়ায় যশোর থেকে আনা কয়লার মান অনুযায়ী গাড়িভাড়াসহ ১৮ থেকে ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তার উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবসা ভাল হচ্ছে না।
নির্মাণকাজের ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত ইটের অভাবে বেশ কয়েকটি উন্নয়নকাজ বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top