logo
news image

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে বঙ্গবন্ধুর ৫০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি ২০২২) গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আজিমনগর স্টেশন কড়ইতলা চত্ত্বরে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।
গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রোকনুল ইসলাম লুলুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস্কেন্দার মির্জা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. মোকলেসুর রহমান, মো. নূরে আলম  সিদ্দিকী আলম, মো. তোফাজ্জল হোসেন তোফা, মো. গোলাম মোস্তফা আসলাম, কদিমচিলানে মো. আনছারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফিরোজ আল হক ভূইয়া, লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাঘা প্রমুখ।
স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফেরার দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ২৪ দিন পর পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব। দিনটি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ওই রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর শুরু হয় বর্বর হামলা।
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। মুক্তির পর তিনি লন্ডন যান। সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে পৌঁছান ঢাকায়।
লাখো জনতা সেদিন তাদের প্রিয় নেতাকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু সেখানে সদ্য স্বাধীন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। প্রায় কুড়ি মিনিটের সেই আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দিদশায় তিনি ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন, বাঙালিকে কেউ ‘দাবায় রাখতে’ পারবে না।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top