logo
news image

ছাপানো কাগজের কদর কমাটা ভয়ানক কষ্টের

-প্রফেসর ড. মো: ফখরুল ইসলাম।
সেদিন রিটায়ার্ড এক স্যার তার নাতিকে বললেন, আমি এখনও বেশ সুস্থ আছি রে বন্ধু। আবার লেখাপড়া করতে চাই। তোমাদের ড্রাইভার এলে বলো- অফিস থেকে তোমার বাবাকে নিয়ে বাসায় ফেরার সময় আমার জন্য দুটো বলপয়েন্ট কলম ও কিছু সাদা কাগজ কিনে আনতে। কাগজ-কলম কেনার কথা শুনে নাতি তো হেসে অস্থির। তোমাকে না কতদিন আগেই বলেছি আমার ডেস্কটপে বসে টাইপিংটা প্রাকটিস করো। তখন আমলে নিলে না। কতবার বললাম, আমি শিখিয়ে দিই, তুমি শেখো। তুমি আজীবন বিছানায় শুয়ে কানে বিবিসি রেডিও নিয়ে কাটিয়ে দিলে। কম্পিউটার চালানোটা শিখলে আজ করোনার সময় বিবিসি-তে রেডিও শুনতে হতো না, আর লেখার জন্য কাগজ-কলমও চাইতে হতো না।
তুমি জানো যে, ভোয়া বাংলা সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে? কবে জানি বিবিসি-বাংলাও বন্ধ হয়ে যায়। কারণ আজকাল রেডিও শোনার সময় কোথায়? শুধু গাড়ির ড্রাউভাররা বা চালকরা পথের একঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য রেডিও শোনে। তারা এফএম রেডিও ফুর্তি শোনে আর গাড়ি চালায়। গাড়ির মধ্যেও টিভি-সিডিতে সিনেমা দেখে। দাদু, তুমি যে এখনও কোন যুগে বাস করছ! তোমার নিয়মিত খবরের কাগজও তো এখন আর দিতে আসে না। কাগজওয়ালারাও জানে না কবে দিতে পারবে খবরের ছাপানা কাগজ। কারণ, করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কালো থাবায় মানুষর মধ্যে ধরেছে ভীষণ মরণভীতি। দেখছ না- এই ভবনের মালিক খবরের কাগজ ঢোকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
বিপদে পড়ে গেছে প্রকাশনা সংস্থাগুলো। করোনাকালের অনেক পূর্বেই লেখার কাজ দখল করেছিল কমিম্পউটার কম্পোজ। কিন্তু ছাপানোর কাজ চলছিল বরাবরের মতই। বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, জার্নাল, কার্টুুন, পোষ্টার, সিনেফ্লেক্স সবকিছুই ছাপানোর অর্ডার আসতো। লেখক, প্রকাশক, কর্মচারী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত সময় পার করতো। রাত পোহালেই ঘরের দরজায় পৌঁছিয়ে দিতে হবে ছাপানো সংবাদের কপি। কাগজের মধ্যে কালি দিয়ে ছাপানোর অক্ষরে কোন কিছু না দেখলে কি বিশ্বাস করা যায়?
করোনার মধ্যেও ছাপানো কাগজ চলল বেশ কয়েকমাস। কিন্তু মানুষের হাতের স্পর্শে করোনা চলাচল করে আরেকজনের দেহে ঢুকে যায়-এই ধারণা প্রচারের সাথে সাথে ছাপানো কাগজের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেল। বাজারের ব্যাগ ঘরের বাইরে রেখে ফসফসানি স্যানিটাইজার দিয়ে বায়ু গোসল করানো শুরু হলো। এমনকি সবজী, কলা, পান ইত্যাদি সাবান দিয়ে ধুয়ে খাওয়া শুরু করলো ভীতু মানুষ।
ভয়টা মরণের। কেউই মরতে চাইনা। হকার পেপার দিয়ে গেলে বারান্দায় ফেলে রাখা শুরু হলো। দুদিন গত হলেও কেউ আর সেই সংবাদপত্র স্পর্শ করতে চাইতো না। কারণ, কতজন যে ওই কাগজটা ইতোমধ্যে স্পর্শ করেছে কে জানে? সেটা আমি ছুঁলে যদি আমাদের পরিবারের কিছু হয়ে যায়! হকারকে বলে দেয়া শুরু হলো- আগামীকাল থেকে পেপার বন্ধ থাকবে। তবে এ মাসের পুরো বিল পাবেন।
সেই যে পেপার রাখা বন্ধ হলো অদ্যাবধি আর নেবার সাহস কুলালো না এই ভবনের কারো। এমনকি এলাকার সবাই বাসায় পেপার রাখা ছেড়ে দিল। বেকার হয়ে গেল হাজার হাজার হকার-শ্রমিক। তাদের পোষ্যদের কি ঘটতে লগলো তা কি আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে? করোনাকালে কাগজ-কালির ব্যবহার কমে গেল, এতে এসব পণ্যের মূল্য কমে যাবে, কারখানা, ছাপাখানা বন্ধ হয়ে যাবে। একাজে পেশাদারী ও র্নিভরশীলরা পথে বসে যেতে পারে-বিষয়টা খুব কষ্টকর, খুব কুৎসিৎ মনে হচ্ছে।
শুধু কি তাই? আজকালা ছাপানো বই, অফিসের জরুরী চিঠি, জমির দলিল ইত্যাদিও মানুষ ভয়ে ছোঁয় না। হাতে ধরার আগে দ্রব্যটা ও নিজের হাতটা স্যানিটাইজ করে নেয়। গ্লাভস ও মাস্ক পরে নেয়। চশমা পরে তারপর দূর থেকে দেখে আর কথা বলে।
অফিসের চিঠি স্কান করে ইমেইলে পাঠায় অথবা মেসেঞ্জারে, টুইটারে দেয়। পাশে বসে থাকলেও ছবিতে শেয়ার-ইট করে। করোনা যেমন নাছোড়বান্দা, মানুষও তেমনি আজব চিজ!
সবচেয়ে খারাপ কাজ হয়েছে দৈনিক পেপার বিলি বন্ধ হয়ে যাওয়া। প্রথমেই কাগজ শ্রমিক ও হকারদের ভাত মেরেছে করোনা।
সংগে এই পেশার সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। করেনার আগ্রাসী রূপ ও দীর্ঘমেয়াদী আগ্রাসন। প্রকাশকদের বিলের অর্থ বাকী থাকতে থাকতে এখন তামাদি হয়ে গেছে। টাকা না পেয়ে প্রকাশকগণ পথে বসে গেছেন। লেখকদের সম্মানী বন্ধ হয়ে গেছে। নিজের জমা টাকা খরচ করে অথবা ধার-দেনা করে এখন বিপদে আছেন তারা। বাকীতে বই ছেপে সাপ্লাই দিয়ে টাকা উঠাতে না পেরে কর্মচারীদের বিল দিতে পারছেন না প্রকাশনা মালিকরা। এইভাবে কম্পোজার, ডিজাইনার, বাঁধাইকার, শ্রমিক, হকার সবার বিল বন্ধ। কারো পেটে ভাত নেই। পেটে ক্ষুধা থাকলে কি আর ভাল কাজ করা যায়?
প্রেস চলছে না, থান কাগজ বিক্রি হচ্ছে না, পেপার মিলের কাগজ স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। এসব কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকা চলছে না। তাদের আত্মার আর্তনাদ শোনাবে কাকে? এই কদর্য সময়ে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো শুনবেই বা কে?
বিকল্প উপায়ে দৈনিক পত্রিকা বের হচ্ছে এখন। কিন্তু সেখানে কৌশলে দশজনের কাজ একজন দিয়েই সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। যাদের টেকনিক্যাল জ্ঞান নেই বা আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে পরিচিত নন তারা কি পরিবারশুদ্ধ না খেয়ে মারা যাবেন?
এ কোন দুনিয়া এলো? চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আশীর্বাদের সময় করোনা নামে সে কে এলো, বিধি-নিশেধের নির্দেশনা নিয়ে- এটা করোনা, সেটা করোনা, ওটা করা যাবে না- আরো কতকিছু বাহানা!
করোনার বিধিনিশেধ কি তাহলে এসেছে মানুষের স্বভাবিক জীবনের গতিকে থমকে দিতে? নাকি উন্নয়নের গতিতে বাগ্ড়া দিতে? মানুষ দিন দিন এত অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে কেন?
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের কথা আমরা জেনেছি। তখন বহু নন্ টেকনিক্যাল মানুষ বেকার হয়েছিল। কিন্তু সেটা ছিল বেশ ধীরলয়ে। সেই সুযোগে তারা মাঠের কাজে লেগে যায়। কৃষি, কয়লা খনি, স্বর্ণ খনি, মোটর শ্রমিক, জেলে ইত্যাদি হয়ে পেশা বদলায়। কিন্তু করোনার প্রভাব এটা কী মেসেজ দিচ্ছে? চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অজুহাতে শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের মানুষকে রোগে-শোকে ডুবিয়ে, সময় না দিয়ে গোষ্ঠীশুদ্ধ কবরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে চলেছে।
অনেকে বলেন. করোনাকারের আশীর্বাাদ হলো- দ্রুত ডিজিটাল পদ্ধতিতে মানুষকে এডাপ্ট করা। কিন্তু এজন্য ডিজিটাল প্রশিক্ষণ নেবার সময় দিল কই? আর সবাই যদি একই প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে লেগে যায় তাহলে এত কাজ করারা স্থান বা ফিল্ড কই? কাজের সুযোগহীনতা নব্য বেকারত্ব তৈরী করেছে করোনাকালীণ ডিজিটাল সিস্টেম।
ডিজিটাল সিস্টেম এত দ্রুত বদলায় যে, তার সাথে সমাযোজন করতে সবাই পারঙ্গম নয়। যেমন, ২০২১ সালে বাজারে আসা কম্পিউটার পুরাতন মডেলের ইউএসবি, মাউস, সিডি, ফ্লপি, এসডি, নতুন অ্যাপস্ কিছুই চিনে না। সেগুলো আধুনিক সফটওয়্যার ছাড়া আপডেট করতে পারে না। নতুন প্রযুক্তি ও ডিভাইসের মূল্য এত বেশী যে তা কেনা সবার সাধ্যে কুলায় না। ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে আসল কোন সফটওয়্যার বা অ্যাপস্ আপলোড করা যায় না। নকল বা চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে করলে সেটা দিয়ে কাজের ফলাফল ভুল বা শুন্য হবার সম্ভাবনা থাকে।
যাহোক্, যা বলতে চাচ্ছিলাম- করোনাকালে কাগজ-কালি ও পড়াশুনার কাজকর্ম সবকিছু নিত্যনতুন ডিভাইস বা কম্পিউটারের কব্জায় চলে গেছে। নেট দুনিয়ায় আমরা গুগল বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পত্রিকা, ছবি, গবেষণা রিপোর্ট, ভিডিও সবকিছু পাচ্ছি। ওপেন এডুকেশন রিসোর্সে শিক্ষার্থীরা সুবিধা নিতে পারছে লাইসেন্সের মাধ্যমে। অথেনটিক, তথ্যবহুল পাঠ্যপুস্তক বা টেক্সটবই বিহীন ইন্টারনেট সোর্স হলে সেটা শুধু সময় নষ্ট আর ফাঁকিবাজি করা শেখাবে। সেগুলো দিয়ে জ্ঞান আহরণ হবে না। জ্ঞান আহরণের জন্য চাই ভাল পাঠ্যপুস্তক। আজকাল লাইসেন্স সম্বলিত নামকরা প্রকাশনা সংস্থার ‘সফট বুকে’-ও জেনুইন তথ্য আপলোড করা হয়ে থকে। যার সবকিছু ‘ওপেন এডুকেশন রিসোর্স’ (ওইআর) নয়। অনলাইনে একটি ভাল টেক্সটবুকের সফটকপি কম পয়সায় বা ফ্রি লাইসেন্সে অ্যাকসেস্ পেতে যে দীর্ঘ প্রক্রিয়া তাতে অজ পাড়াগাঁয়ে বিদ্যুৎবিহীন পরিবেশে ধরিগতির নেটে নিজের পয়সায় একজন স্বল্প মেগাবাইট কেনা দরিদ্র শিক্ষার্থীর এত অর্থ ব্যয় করারা সুযোগ কোথায়?
আজকাল অনেক জেনুইন হার্ড কপির সফট ভার্সন তৈরী করে আপলোড করে নানা ব্যবসা শুরু হয়েছে। সেগুলোতে ক্লিক করলে শুধু সারমর্মটা ফ্রি দেখতে দেয়। গোটা কপি পেতে হলে  মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ডে মূল্য পরিশোধ করতে বলে। যা আমাদের মত দরিদ্র দেশের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ অসম্ভব ব্যাপার। এমনকি আমাদের শিক্ষণকগণেরও এসব কার্ড নেই বা তত অর্থ খরচ করার সামর্থ্য নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অনলাইনে ‘জেনুইন সফটবুক’ বা জার্নাল প্রাপ্তি- এটা বিত্তশালীদের কারবার।
কোন কিছু সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য যার হার্ডকপি বা ছাপানো কপিরও বড় প্রয়োজন। এজন্য দেশীয় প্রকাশনা সংস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মূল বই না থাকলে আপনি ইন্টারনেটে কী আপলোড করবেন? ভুল ভরা আনঅথারাইজড ইন্টারনেটের তথ্য শুধু কপি-পেষ্ট করে আপনি কী শিখবেন বা শেখাবেন? পাঠদানের তথ্য সঠিক কি-না তা কীভাবে যাচাই করবেন? আজকাল অসংখ্য ‘ওপেন এডুকেশন রিসোর্স’(ওইআর) ভুলে ভরা। গবেষণা বা ড্রিগ্রীর কাজের সেমিনার, কনফারেন্স না করে অনেকেই মনগড়া পেপার লিখে মাত্র ১০০ ডলার ফি দিয়ে ভূঁইফোড় অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করিয়ে প্রমোশন বাগিয়ে নিচ্ছেন। লোভী দুষ্ট চক্রের কিছু মানুষের প্রচেষ্টায় সেগুলো যাচাই না করেই নেটে আপলোড করে দেয়া হচ্ছে। তবে অনেক দামী জার্নালে এসবের উদ্বৃতি দিলে আনঅথারাইজড চিহ্নিত করে বাতিল করে দেয়া হচ্ছে। এজন্য ফায়ারওয়ালবিহীন অবাধ অনলাইন নির্ভর পাঠদানে এখন নানা জটিল প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ না থাকলেও কুপির আলোতে বই পড়া যায় কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে ডিভাইসে চার্জ থাকেনা, নেট চলে না। নেট দুনিয়া অচল হয়ে গেলে এবং ছাপানা কিছু না থাকলে বা মাথায় কিছু স্মরণে না এল দুনিয়াটা অসাড় মনে হবে। তখুনি ঘোর অমানিশা এসে গ্রাস করবে। আমি কোন নৈরাশ্যবাদী কথা বলছি না- শুধু বলতে চাচ্ছি সুষম উন্নয়নের কথা। যা কিছু উন্নয়ন করা হবে তাতে যেন সব মানুষের আ্যকসেস্ থাকে এবং দেশের সব মানুষ খেয়ে পরে সম্মান নিয়ে বাঁচার সুযোগ পায়। একজন মাটিকাটা শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিক, সেলাই শ্রমিক, বই বাঁধাই শ্রমিক, প্রকাশক, আমলা. ব্যবসায়ী, শিক্ষক, জেলে, কুলি, ব্যাংকার, কারখানা মালিক, সৈনিক, কবি বা একজন গৃহকর্মী সবার নিকট এই করোনাকালে কি কাগজ-কালির কাজ-কারবার সমান? তা মোটেও নয়। সেটা কারো আপন কব্জার মধ্যে রাখাও সম্ভব নয়। ডিজিটাল ডিভাইসের প্রাচুর্যের এই সময়ে সেটা আরো চরম সত্য প্রকাশ করে চলেছে। মানুষে মানুষে আয় বৈষম্য করেনাকালে মানুষে মানুষে ডিজিটাল বৈষম্যকে আরো প্রকট করে তথ্য প্রাপ্তি ও সে অনুযায়ী চলার পথকে আরো দুস্তর করে ফেলছে। গত দুবছরে এ অবস্থা চলতে চলতে আমাদের সমাজে চরম আর্থ-সামাজিক ও মানসিক বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন দায়িত্ব হলো এসবের মধ্যে সার্বিক বৈষম্য কমানো। বিশেষ করে মৌল-মানবিক চাহিদার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা জরুরী। করোনা ও ডেঙ্গির এই ভয়াবহ সময়ের নিয়ন্ত্রণহীন আবর্তে মানবিক বৈষম্যের সমতা বিধানের জন্য ছাপানো সংবাদপত্রের সাথে জড়িত সহ সবাইকে দ্রুত বিশেষ প্রণোদনা দিতে না পারলে সামাজিক বিশৃংখলা অবশ্যম্ভাবী। এছাড়া অফিসিয়াল কাগজ কালির কাজ-কারবার বা ডিজিটাল ডিভাইসের নিত্য-নতুন তথ্যে অধিগ্রহণ কার কব্জায় তা চিন্তা না করে এসময়ে বিনামূল্যে জরুরী খাদ্য ও ওষুধের সরবরাহ করে স্বজনহারাদের করুণ কান্না ঠেকানো অতি জরুরী।

* প্রফেসর ড. মো: ফখরুল ইসলাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান। E-mail: fakrul@ru.ac.bd

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top