logo
news image

বড়াইগ্রামে আশ্রয়নের প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনান্দ উল্লাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম নাটোর
নাটোরের বড়াইগ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আনান্দ উল্লাসে ভাসছে আশ্রয়নে বসবাসরত ৬৫টি পরিবারে। অন্যর জায়গায় ছাপড়া ঘরে কোর রকম দিন কাটাত তাদের। কল্পনাও করতে পারে নাই পাকা ঘরে বসবাস করতে পারবে। পাঁকা ঘরের পাশাপাশি পানির জন্য টিউবয়েল, বিদ্যুৎ ও ঘুমানোর জন্য খাটের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের উপলশহর গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের এই চিত্র দেখা যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী বলেন, শুক্রবার সকালে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রকল্প এলাকায় শিশুদের জন্য শিশু পার্ক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। প্রতিটি ঘরের দরজায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের খাবার ও নগদ ৫০০ টাকা করে পরিবার প্রধানদের হাতে তুলে দেন। আশয়ন প্রকল্প এলাকার পরিবেশসহ অন্যান্য ভৌত কাঠামো পরিদর্শণ করেন।
সোমবার অশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা পার্কে খেলা ধুলা করছে। মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ হচ্ছে। পাপর তৈরী করছে বাজারে বিক্রয় করার জন্য। কেউ কেউ ছাগল পালন করছে। শিশুরা পার্কে খেলা করছে। 
আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহবধু সিমা বেগম বলেন, আগে আমার অন্যর এটুখানী জায়গাতে কুড়ে ঘরে বসবাস করতাম। এখন পাকা ঘরে বসবাস করছি। পাঁকা ঘরের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। বাড়ির পাশে ফাকা জায়গাতে মিষ্টি কমুড়ার, চাল কুমড়া লাগিয়েছি। ফলও ধরেছে।
ভ্যান চালক ইদ্রিস আলী বলেন, আমাদের ঘরের সাথেই শিশু পার্ক করেদিলেন ইউএনও স্যার। কিযে ভালো লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারোব না।
শিশুপার্কে খেলায় মত্ত শিশু শিউলী বলেন, আমরা খেলার জিনি পেয়ে অনেক খুশি। 
ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বড়াইগ্রামে দুই ধাপে মোট ৩২৬টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। উপলশহরে একসাথে ৬৫টি পরিবার বাস করছেন। এদের পরিবার প্রধানদের কর্মসংস্থানের পাশাপশি নারীদেরকে গার্মেন্টসসহ নানা মূখী হস্ত শিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে আতœনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি পরিবার যাতে করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠে তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করা হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top