নাচ একসময় ক্যাটের জীবনের ‘হিচকি’ ছিল
‘কামলি’, ‘টাচ মি টাচ মি’, ‘চিকনি চামেলি’, ‘শিলা কি জওয়ানি’ আইটেম
গানগুলোতে ক্যাটরিনা কাইফের উদ্দাম নাচের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে।
ক্যাটের নাচ দেখে মনে হয়, এই শিল্পকে সঙ্গে নিয়েই তিনি জন্মেছেন। কিন্তু
জানেন কি, এই নাচই একসময় ক্যাটের জীবনের ‘হিচকি’ ছিল। আর এই সত্যি সবার
সামনে নিয়ে এলেন রানী মুখার্জির ‘হিচকি’ ছবির নির্মাতারা। সিদ্ধার্থ পি
মালহোত্রা পরিচালিত এই ছবি প্রচারণার মাধ্যমে ক্যাটরিনা জানালেন তাঁর
হিচকির কথা। কেউ কোনো বিষয়ে দুর্বল হলে তাকে ‘হিচকি’ বলে। যা সে চাইলে ধীরে
ধীরে কাটিয়ে উঠতে পারে। ‘হিচকি’র নির্মাতা বলিউডের সেরা তারকাদের কাছে
জানতে চাইছেন তাঁদের জীবনের এমন এক দুর্বলতা, যা অকথিত আছে।
ক্যাটরিনা
এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার সব থেকে বড় “হিচকি” ছিল আমার
নাচ। তেলেগু একটা ছবিতে সুপারস্টার ভেঙ্কটেশের সঙ্গে শুট চলছিল। সেটা একটা
নাচের দৃশ্য। নৃত্যনির্দেশক ছিলেন রাজু সুন্দরম। আমি যখন নাচ করছিলাম, তিনি
আমার দিকে খুবই বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন, কিন্তু একটা কথাও বলেননি।
পরবর্তী সময়ে যখন সালমানের সঙ্গে ওয়ান্টেড ছবির সেটে ছিলাম, তখন আমি শুনতে
পাই, রাজু সুন্দরম সালমানকে বলছেন যে “ক্যাটরিনা কাইফ ডান্সার হিসেবে জিরো।
” এই কথা শুনে আমি খুবই অবাক হই।’
এর পর থেকে ক্যাট ঝাঁপিয়ে পড়েন
তাঁর এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য। এই হিচকিকে জয় করা তাঁর লক্ষ্য হয়ে
দাঁড়ায়। তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রথম তেলেগু ছবির পর আমি কত্থকের গুরু ভীরু
কৃষ্ণানের কাছে নাচের তালিম নেওয়া শুরু করি। প্রায় রোজই সকাল সাতটা থেকে
বেলা একটা পর্যন্ত তাঁর কাছে নাচের প্রশিক্ষণ নিতাম। আর আজ আমি যে
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নাচ করি, তার পেছনে আরও দুজন মানুষ আছেন। কোরিওগ্রাফার
বস্কো-সিজার আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। ওঁদের জন্যই আমি রেস ছবিতে
অন্যতম সেরা নাচটি নাচি। আমি মনে করি, একজন ভালো শিক্ষকের কাজই হলো একজন
ব্যক্তিকে এতটাই আত্মবিশ্বাসী করে তোলা, যেন সে তার সেরাটা উজাড় করে দিতে
পারে। আর সে জন্যই আজ আমি আমার গা থেকে “জিরো” ড্যান্সারের তকমাটা মুছে
ফেলতে পেরেছি।’ প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি
‘হিচকি’।
সাম্প্রতিক মন্তব্য