মুসলিম উম্মাহর জেগে উঠার প্রতীক্ষায়: পর্যালোচনা
ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল।।
অগ্রজ ড. মোহাম্মদ শামীম খান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন সজ্জন ব্যক্তি। যৌবনের প্রারম্ভে ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ যাকে দেখেছি, খেলার মাঠে, রাজনৈতিক ময়দানে যিনি ধর্ম কর্মে মনোনিবেশের ক্ষেত্রে ততটা যত্নশীল ছিলেন না। মহান প্রভুর লীলা বোঝা দায়, যাকে আল্লাহ পছন্দ করেন তাকেই সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত করেন। বদলে যাওয়া এ শিক্ষাবিদ আজ অন্যরকম মানব, যিনি খলিফার প্রকৃত দায়িত্ব পালনে ব্রত এক চৌকষ সেনানী। বিবেকের তাড়না থেকেই রিভিউ লিখতে বসলাম। বইটি হাতে পেয়ে ভূমিকা, সূচিপত্র এবং তথ্যপঞ্জি লিপিবদ্ধকরণের শিকাগো শৈলীর চমৎপ্রদ ব্যবহার দেখে আশাবাদী এর নির্যাস ঘুমন্ত জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে সহায়ক হবে।
পুস্তিকার বিন্যাস, শব্দশৈলীর গাঁথুনি লেখকের অনুশীলনের গভীরতা এবং উপস্থাপনার ধারাবাহিকতা পাঠক মনে দাগ টানবে বলেই আমার বিশ্বাস। মুসলিম উম্মাহর সোনালী অতীত, অধঃপতনে নিমজ্জিত হওয়ার পেছনের কথামালা, ইসলাম-পূর্ব অন্ধকার যুগের নাতিদীর্ঘ সরল বিশ্লেষণ এবং জেগে ওঠার দিকনির্দেশনা সমেত বইখানা জ্ঞানের ভুবনে আকর হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে কাছ থেকে অনুধাবন অনুসরণ পর্যবেক্ষণ যৌক্তিক গন্তব্য নির্ধারণের সহায়ক জ্বালানী হিসেবে শক্তি যুগাবে। বইটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের বাতিঘর হিসেবে প্রতিপাদ্য হবে বলেই পাঠক হিসেবে আমার উপলব্ধি।
মহান প্রভুর নিকট নিবেদন, তিনি যেন তার প্রিয় বান্দার খেদমতকে কবুল করেন এবং মুসলিম জাতি যেন জ্ঞান-বিজ্ঞান যশ খ্যাতি এবং পরিপূর্ণতায় জেগে ওঠে প্রভুর প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হয়।
* ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল: সহযোগী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
সাম্প্রতিক মন্তব্য