logo
news image

সাকিব বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লড়বেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে

নিদাহাস ট্রফির আগে বিসিবির সিদ্ধান্ত ছিল, সাকিব দলের সঙ্গে কলম্বোয় থাকবেন। অন্তত শেষ এক-দুটি ম্যাচ খেলবেন। কিন্তু চোটের অগ্রগতি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। সাকিবের জায়গায় অধিনায়কত্বের ভার দেওয়া হয় মাহমুদউল্লাহকে।অবশেষে সুখবর, সাকিব পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। নিদাহাস ট্রফি খেলতে আজ বৃহস্পতিবার কলম্বোয় যাচ্ছেন সাকিব। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে সাকিব খেলছেন আগামীকালের ‘সেমিফাইনাল’!ফাইনালে জায়গা করে নিতে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই বাংলাদেশের।গত ২৭ জানুয়ারি ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করেন এই তারকা। ধারণা করা হয় নিদাহাস ট্রফির শুরু থেকেই খেলতে পারবেন। তবে পরে চোট এতই গুরুতর হয় যে প্রথমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে কলম্বো আসেন। কলম্বো থেকে যান অস্ট্রেলিয়ায়।সেখানে গত ৯ মার্চ মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড হয়ের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব। দেশে ফিরেন সুখবর নিয়ে। জানান, চোটের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। যার কারণে কোনো অস্ত্রোপচারের দরকার পড়েনি।এরপর থেকেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে গিয়ে সময় নিয়ে অনুশীলন করেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। অবশেষে সুখবর, সাকিব পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। নিদাহাস ট্রফি খেলতে আজ যাচ্ছেন কলম্বোয়। সবকিছু ঠিক থাকলে খেলবেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ।বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
বাংলাদেশকে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত। গতরাতে টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে ভারত ১৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলো টিম ইন্ডিয়া। তবে রান তোলার কাজেও পারদর্শী ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৯ রান যোগ করেন এ জুটি ।এরপর ভারত ব্যাটসম্যানদের রানের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। এক পর্যায়ে ৯ দশমিক ৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭০। ভারতের পতন হওয়া প্রথম উইকেটটি নেন বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। ২৭ বলে ৩৫ রান করা ধাওয়ানের উইকেট উপড়ে ফেলেন রুবেল। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।ধাওয়ানের বিদায়ে উইকেটে রোহিতের সঙ্গী হবার সুযোগ পান সুরেশ রায়না। বাংলাদেশের বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই জুটিও। এরমাঝে টি-২০ ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। তবে রান তোলা থেকে ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে বেশিক্ষণ দমিয়ে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে ১০২ রান যোগ করেন রোহিত ও রায়না।তাদের জুটির কল্যাণে স্কোর গড়ার পথ পেয়ে যায় ভারত। ১৯ ওভার শেষে এই জুটির কল্যাণে ১৭২ রানে পৌছে যায় ভারত। শেষ ওভারের প্রথম বলে রায়নার পথ চলা থেমে যায় রুবেলের ডেলিভারিতে। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ বলে ৪৭ রান করেন রায়না।রায়না ফিরলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন রোহিত। শেষ পাঁচ বলে তার প্রয়োজন ছিলো ১২ রান। কিন্তু রুবেল সেঞ্চুরি পেতে দেননি রোহিতকে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হবার আগে ৮৯ রান করেন রোহিত। ৬১ বল মোকাবেলায় ৫টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন রোহিত। অপরপ্রান্তে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন দিনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। রুবেল ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।দলীয় ১২ রানে ভারতের অফ-স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে অহেতুক উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে আউট হন আগের ম্যাচেই ১৯ বলে ৪৩ রান করা লিটন। লিটনের বিদায়ের পর ৮ বলে ২১ রান যোগ করেন তামিম।কিন্তু লিটনের আউট দেখেও শিখতে পারেননি সৌম্য। শিখতে পারেননি অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখা তামিম ইকবালের ব্যাটিং দেখেও। ভারতের স্পিনার সুন্দরকে জায়গায় দাঁড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য। ৩ বলে ১ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।সৌম্যর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামতে হয় তামিমকেও। ঐ সুন্দরের বলে বোল্ড হন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৭ রান কওে তামিম আউট হলে ফলে ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।শুরুর ধাক্কা আমলে না নিয়ে ক্রিজে গিয়েই ভারতীয় বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২টি বাউন্ডারিতে নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। ৮ বলে ১১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত।তবে হাল ছাড়েননি বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান আগের ম্যাচের হিরো মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্য দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন তারা। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হন মুশফিক ও সাব্বির। আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন তারা। তাতে ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৬ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ বলে ৬১ রান দরকার পড়ে টাইগারদের।এমন অবস্থায় উইকেট পতনের তালিকায় নিজের নাম তুলেন সাব্বির। ২৩ বলে ২৭ রান করে ফিরেন তিনি। এতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। জুটিতে ৪৮ বলে ৬৫ রান যোগ করেন মুশি ও সাব্বির।এরপর শেষ দিকে বাংলাদেশকে আর জয়ের স্বাদ দিতে পারেননি মুশফিক। টি-২০ ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর। তার ইনিংসে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ভারতের সুন্দর ২২ রানে ৩ উইকেট নেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top