logo
news image

দাদির কোলই ঠাঁই হল নিহত কেবিন ক্রু নাবিলার মেয়ের

স্বামী কারাবন্দি থাকায় মা ও শাশুড়ির সহায়তা নিয়ে শিশু মেয়ের লালন-পালন করছিলেন শারমিন আক্তার নাবিলা; বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে মাতৃহারা শিশুটির ঠাঁই হল দাদির বাসায়।

সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন, তাদেরই একজন কেবিন ক্রু নাবিলা।

ওই ফ্লাইটে যোগ দিতে সোমবার দুপুরে তিনি যাত্রা করার আগে আড়াই বছরের শিশু মেয়েকে উত্তরায় নিজেদের ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাছে রেখে গিয়েছিলেন বলে পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহেন শাহ জানান।

 

শারমিন আক্তার নাবিলা

শারমিন আক্তার নাবিলা

এদিকে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে নাবিলার এক বান্ধবীর মাধ্যমে নাতিকে মিরপুরে নিজেদের বাসায় নিয়ে নেন তার নানি। এই খবর জানতে না পেরে গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে ওই শিশুকে চুরির অভিযোগ নিয়ে উত্তরা থানায় যান তার দাদি, যিনি তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ার বাসিন্দা।

 

পরে পুলিশি অনুসন্ধানে মেয়েটি মিরপুরে তার নানির আছে বলে জানা যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকটমকে বলেন, “মূলত ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। নানি-দাদি দুই পক্ষই থানায় এসেছে এবং শিশুটিকে দাদির কাছে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

মেয়েটি আগেও নাখালপাড়ায় তার দাদির বাসায় থাকত বলে জানান তিনি।

নাবিলার স্বামী ইমাম হাসান মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় তিন মাস ধরে কারাগারে রয়েছে বলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন জানান।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top