শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন-এমপি বকুল
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন। নাটোরের লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে চরজাজিরা ও দিয়াড়শংকর গ্রামে এই প্রথম ৩৫৪ পরিবারের মাঝে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনকালে ৫৮ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৯ আগস্ট ২০২০) নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আয়োজনে লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চরজাজিরা ও দিয়াড়শংকর গ্রামে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি ওয়াশছেক আলী সোনার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাব্বিউল ফেরদৌস, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জেনারেল ম্যানেজার (অ. দা.) আব্দুর রশিদ, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মাহমুদুল হক মুকুল। তত্ত্ববধায়নে ছিলেন লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও লালপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মানোয়ার হোসেন নান্টু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আলাউদ্দিন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল বাশার ভাদু, প্রচার সম্পাদক আনিসুজ্জামান বাবু, লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, লালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুর্শেদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান তনু, জেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি আলতাব হোসেন কুটি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাঘা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হাসান রিপন প্রমুখ। এছাড়াও চরাঞ্চলে বসবাসরত নারী-পুরুষ, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সাংসদ আরো বকুল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই এই দূর্গম চরেও বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের একটি অঞ্চলেও আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগা হবে না। এই অঞ্চলের মানুষও সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাবে। এ সময় সাংসদ জরজাজিরা ও দিয়ার শংকর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি করেন।
দুটি গ্রামে নির্মিত লাইনের পরিমান ১০.৯৫৬ কিলো মিটার, নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা, বিদ্যুতায়িত গ্রহকের সংখ্যা ৩৫৪ জন। বিদ্যুৎ পেয়ে চরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
সাম্প্রতিক মন্তব্য