logo
news image

লালপুরের প্রথম নারী পুলিশ ক্যাডার আরজিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সহকারী পুলিশ সুপার ৩৮তম বিসিএস নাটোরের লালপুরের প্রথম নারী পুলিশ ক্যাডার আরজিনা। কবি কাজী নজরুলের ভাষায়, কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী, প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী। সেদিন সুদূর নয়-যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়। সত্যিই তাই।  ইতিহাসের পাতা উল্টালেই পাওয়া যুগে যুগে আন্দোলন সংগ্রামে নারী অগ্রণী ভূমিকা। তেমনি দিনে দিনে পুরুষের পাশাপাশি সমান গতিতে এগিয়ে চলেছে এদেশের নারীরাও। আবার এসব নারীরাই পুলিশে যোগ দিয়ে দেশকে মাদক, দূর্নীতি মুক্ত করতে ভূমিকা রাখছে। তাই তো এদেশের মেয়েরা স্বপ্ন দেখতে পারে বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হবো।
এমনি একজন নাটোরের লালপুর উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে আরজিনা খাতুন। এবার ৩৮তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
উপজেলার বেরিলাবাড়ি গ্রামে জন্ম নেওয়া আরজিনার দুই ভাইবানের পরিবারে বড় মেয়ে।
মো. উসমান গণি ও মোসা. আসমা বেগমের প্রথম এই সন্তান উপজেলার চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরজিনা খাতুন বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি পুলিশকে দেখে সবাই ভয় পাই, পুলিশদের সম্পর্কে নেগেটিভ একটা আরণা থাকে। পুলিশ দেখলে কি হয় না হয়, ঝামেলা এড়াতে মানুষ ১০ হাত দূরে থাকে। এটা যেন আর না থাকে। এজন্যেই স্বপ্ন দেখতাম পুলিশ অফিসার হবো। যার ফল ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে আমার বহু আকাঙ্খিত স্বপ্ন আমার কাছে ধরা দেয়। পুলিশ ক্যাডেট ই আমার ফার্স্ট চয়েজ ছিল, আলহামদুলিল্লাহ আমি সেটাই পেয়েছি।
তিনি আরও  বলেন, আমি চাই পুলিশ মানুষকে সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত এমন একটা মনোভাব মানুষের মনে তৈরি হোক। তৈরি হোক দূর্নীতি মুক্ত দেশ। আর এমন একটি দূর্নীতি মুক্ত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই।
এছাড়া আমার এলাকাটা এখনো তুলনামূলক পিছিয়ে আছে, তাই এলাকার উন্নয়নে পাশে থেকে কাজ করতে চাই। সবাই আমার জন্যে দোয়া করবেন যেন চাকরিতে যোগ দিয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top