logo
news image

মেসিরা জেরুজালেম যাচ্ছেন

মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে তুলেছেন দুবার। নিজ কাঁধে বয়ে সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালেরও টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন দলকে। তবু দেশের হয়ে বড় টুর্নামেন্টের একটি শিরোপাও ছুঁয়ে দেখতে পারেননি লিওনেল মেসি। এ যাতনা কুরে কুরে খাচ্ছে তাকে।দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এবার আর মিস করতে চান না ছোট ম্যাজিসিয়ান। তাই সোনার ট্রফিটা স্পর্শ করে দেখতে নানা রীতি পালন শুরু করেছেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় আসন্ন বিশ্বকাপ গড়ানোর কয়েক দিন আগে গোটা দলকে নিয়ে পবিত্র জেরুজালেম নগরী ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফুটবলের বরপুত্র।মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান- তিন সম্প্রদায়ের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র জেরুজালেম। মেসি বিশ্বাস করেন, নগরীটি ভ্রমণ করলে ভাগ্য ফিরবে আর্জেন্টিনার। এতে বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব।আসছে ৯ জুন একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে জেরুজালেম যাবে আর্জেন্টিনা। এর পরই শুরু হবে ময়দানি লড়াই। ১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ মিশন। তাদের দলের অধিকাংশই ক্যাথলিক খ্রিস্টান। তারা মনে করছেন, জেরুজালেমে প্রার্থনা করলে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

মেসি বলেন, পবিত্র ভূখণ্ড ভ্রমণে আমি মুখিয়ে আছি। এটি হবে গোটা আর্জেন্টিনা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও আধাত্মিক ভ্রমণ। আমি বলেছি- সবাই ইসরাইলে এসো, প্রার্থনা করো; যেন আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি।

পোপ ফ্রান্সিস আর্জেন্টিনা ফুটবলের পাঁড় ভক্ত। এরই মধ্যে জেরুজালেম চার্চে মেসিদের প্রার্থনা করার সুব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত দুবার ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চের শিরোপা ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আর্জেন্টাইনদের। সবশেষ ১৯৮৬ সালে শিরোপা জয়ে তাদের আনন্দে ভাসান বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেই হিসাবে প্রায় ৩২ বছর অধরা রয়েছে স্বপ্নের সোনার ট্রফি। এবার আরেক কিংবদন্তি মেসির হাত ধরে তা ধরার স্বপ্নের জাল বুনছেন তারা।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top