logo
news image

পাট ও পাটপণ্য ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি

বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে বিপুল চাহিদা থাকার স্বত্ত্বেও উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণ স্বল্পতার কারণে পর্যাপ্ত রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরও বিশ্ববাজারে এই খাতের রফতানি আয় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পাট এবং পাটজাত পণ্য রফতানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৬৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাট পণ্য রফতানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ কোটি ১২ লাখ ডলার।বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ইপিবির তথ্য মোতাবেক, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কাঁচাপাট রফতানিতে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, পাট সুতা ও কুন্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছে ৪১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি হয়েছে ৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের এবং পাটজাত অন্যান্য পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে সাত কোটি তিন লাখ ডলার।পাট ও পাট পণ্য রফতানির বিষয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে বাংলাদেশের পাট ও পাট পণ্যের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উৎপাদন ও পণ্য বহুমূখীকরণে আমরা এখনও পিছিয়ে থাকায় পর্যাপ্ত পাট ও পাট পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। তবে সরকার মানসম্মত পাট উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নীতি সহায়তার পাশাপাশি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে নগদ সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।তিনি বলেন, রফতানিমুখী পাট পণ্য বহুমুখীকরণে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। মানসম্মত পাটজাত পণ্য উৎপাদন হওয়ায় রফতানি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেনবিজেএমসির চেয়ারম্যান জানান, ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশের জনগণ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের প্রতি সচেতন হওয়ায় সেখানে পাট পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এই চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ নতুন নতুন বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য উৎপাদন করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে স্বদেশী পাট পণ্যের কার্যকর ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কারণে পাট ও পাট পণ্য রফতানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে তিনি জানান।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top