logo
news image

লালপুরে ব্যাপক সংক্রমনের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নাটোরের লালপুরের বাজারগুলো। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, দেশ এখন করোনা আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করছে। এখানে সবই যেন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে, কারো মধ্যে করোনা ভীতি তেমন একটা নেই আবার করোনা সচেতনতাও নেই। এমনই চিত্র চোখে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। করোনা রোধে উপজেলার কোথাও মানা হচ্ছেনা স্ব্যাস্থ্য বিধি, ফলে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রামনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই উপজেলায় তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ ও অন্যজন কলেজ ছাত্র। আর এভাবে চলতে থাকলে করোনা এখানে মহামারিতে পরিনত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (১৩ মে ২০২০) উপজেলার লালপুর, গোপালপুর, ওয়ালিয়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকল বাজারেই মানুষের ঢল নেমেছে। কোনো বাজারেই সামাজিক দুরত্ব  বা স্বাস্থ্য বিধি মানছে না মানুষ। সবখানেই মানুষ গাদাগাদি করে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই নেই স্যানিটাইজিংসহ জীবানুনাশকের কোনো ব্যাবস্থা। দোনানে সাটানো রয়েছে ‘নো মাস্ক নো সেল’ অথচ বেশিরভাগ দোকানি ও খদ্দেরদের মুখে কোনো মাস্ক নেই। এ সময় বাজারে বা দোকান পাটে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের ভুমিকা নজরে আসেনি।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা স্ব্যাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, মাঠ পর্যায়ে সামাজিক দুরত্ বজায় রাখতে মাঠে আছে প্রশাসন, এ বিষয়টা তারাই দেখভাল করছে।
উপজেলার কোনো বাজারেই স্ব্যাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছেনা, এ বিষয়ে প্রশাসনের ভুমিকা কি এমন প্রশ্নের জবাবে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, ‘সামাজিক দুরত্ব মেনে ব্যবসা পরিচালনাসহ বেশ কিছু শর্তে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অঙ্গিকার করে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলেছে, আমরাও তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছি, এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নিয়োমিত অভিাযান চালাচ্ছে, কোথাও নিয়োমের ব্যাত্যয় ঘটলে আইনের আওতায় এনে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে’। তবে আগে সামাজিক দুরত্ব মানতে প্রশাসনের যে ভুমিকা ছিল বর্তমানে (শিথিল করার পরে) প্রশাসনের তেমন ভুমিকা নেই ফলে ব্যপকভাবে করোনা সংক্রামন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top