logo
news image

রাজশাহী বিএমএসএফ’র কাউন্সিল সভাপতি মাখন সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) রাজশাহী জেলা শাখার দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে মহানগরীর কুমারপাড়ার এক রেস্তোরায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত) মো: জাকির হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।
প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের স্টাফ রিপোর্টার আবু সালেহ মোহাম্মদ ফাত্তাহ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএমএসএফ’র সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর।
সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে আলোচনা শেষে এশিয়ান টিভির আবু কাওসার মাখনকে সভাপতি ও জয়যাত্রা টিভির শামসুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট রাজশাহী জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এ কমিটি ঘোষনা করেন। এসময় চাপাইনবাগঞ্জ বিএমএসএফ’ র ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটিতে ৭১ টিভির একেএস রোকনুজ্জামানকে আহবায়ক ও গ্লোবাল টিভির আলমগীর হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়৷
এ সময় বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, প্রতিটি পেশার দপ্তর আছে। একমাত্র সাংবাদিকদের কোনো দপ্তর নেই। নামেমাত্র তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে আছে, যা দুঃখজনক। গণমাধ্যম অঙ্গনটি অরক্ষিত। অনেক সমস্যার মধ্যে চাকরি হারানো অন্যতম। যা নিয়োগ নীতিমালা না থাকায় এমনটা হচ্ছে। আমরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। বেচে থাকতে চাই। বিএমএসএফ’র দাবি অবিলম্বে দেশের পেশাদার সাংবাদিকদদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। বিএমএসএফ পক্ষ থেকে চারবার স্মারকলিপি দিয়েছি। অবিলম্বে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। কিন্ত সেটি দন্তবিহিন বাঘের মত, অকার্যকর।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জিং পেশা। বেশ ঝুকি নিয়ে কাজ করতে হয়। সাংবাদিকদের লেখনি সমাজে বেশ প্রভাব বিস্তার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, মিডিয়া আমাদের সমাজের দর্পণ। সবচেয়ে ভূমিকা রাখে সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়ে থাকি। মিডিয়ার আধুনিকতা এসেছে। হলুদ বা গুজবে কান না দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রত্যাশা জনগনের। গণমাধ্যমে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। পুলিশ সাংবাদিকের উদ্যেশ্য একই তবে কাজের ভিন্নতা আছে। আমরাও ভিতরের খবর বের করে আনি আপনারাও।
আবু সালেহ মোঃ ফাত্তা বলেন,সাংবাদিক মারা গেলে বিএমএসএফ ছাড়া কেউ পাশে দাঁড়ায়না। বিএমএসএফ’র ১৪ দাবির সাথে আমরা রাজশাহির সাংবাদিকরা একাত্ম আছি। পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। সাংবাদিকের একমাত্র স্লোগান
একত্রিত হতে পেরেছি, আস্তে আস্তে অধিকার আদায় হবে। অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে।
উল্লেখ্য, উক্ত সম্মেলনে রাজশাহী জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সদস্য এমএ আকরাম, কাজী সালাহ উদ্দিন নোমান, পাবনা জেলা কমিটির আহবায়ক মোবারক বিশ্বাস, ফয়সাল আজম অপু, স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন জালাল প্রমুখ অতিথি ছিলেন। রাজশাহি জেলার সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন শেষে রাজশাহি জিরো পয়েন্টে বিএমএসএফ জেলা শাখার অফিস উদ্বোধন করেন সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। এসময় তিনি সদস্যদেরকে সাংগঠনিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top