logo
news image

চিরবিদায় নিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর নিবাসী মরহুম মহসিন আলী সরকারের বড় ছেলে লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরকার (৭৯) বার্ধক্য জনিত কারণে সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোর ৫টায় ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বাদ আসর রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ শেষে বালিতিতা কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  
আব্দুল মান্নান সরকারের মৃত্যুতে দৈনিক প্রাপ্তি প্রসঙ্গ পত্রিকাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।  
গত ২৪ জুলাই মরহুম আব্দুল মান্নান সরকারের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সরকার (৭৫) পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি সময় বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে পবিত্র কাবা শরীফে আছরের নামাজ পড়তে গিয়ে ২৫ নং মারোয়া গেটের সামনে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিয়মানুযায়ী পবিত্র মক্কা শরীফে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। গত ২২ জুলাই জাহাঙ্গীর সরকার ও তাঁর স্ত্রী লতিফা জাহাঙ্গীর বেলী হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাত্রা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী বেলী, ছেলে জুবায়ের সম্রাট ও খালিদ হোসেন সরল, কন্যা বুবলীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম আব্দুল মান্নান সরকারের মেজ ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী হুমায়ুন কবির পান্না (৭৮) গত ১৫ জুলাই নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।   তিনি দীর্ঘদিন কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার পুত্র সন্তান, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হাজী হুমায়ুন কবির পান্না সমাজ সেবক হিসেবে এলাকায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন।  বিশেষ করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর প্রাণি সম্পদ কার্যালয়, লালপুর কলেজ, লালপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা, লালপুর পাবলিক লাইব্রেরি, রওজাতুস সুন্নাহ কওমী মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।  তিনি বালিতিতা ইসলামপুর কবরস্থানের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।
গত ৫ মাসে তিন ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার, অত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top