logo
news image

লালপুরে ৫৩০তম কালীপূজা ও মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নাটোরের লালপুরের বুধপাড়া কালী মন্দিরে ৫৩০তম কালীপূজা ও মেলা রোববার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে। দেশ-বিদেশের হাজারো দর্শকের পদচারণায় ৯ দিনব্যাপী মিলন মেলা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
জানা যায়, পাঁচ শতাধিক বছর আগে নবাবী আমলে বর্গীয় হাঙ্গামায় বর্গীদের অত্যাচারে ভারতের মুর্শিদবাদ জেলার বহরমপুরের খাগড়া থেকে ৬০ঘর কংস বণিক লালপুরের বুধপাড়ায় এসে বসতি স্থাপন করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই কাঁসা শিল্পীরা কালীপূজা অর্চনার জন্য খড়ের ঘরে একটি মন্দির নির্মান করেন। বাংলা ১৩৩২ সালে জনৈক লাল কেনেডিয়ার স্ত্রী জানকী বাঈয়ের আর্থিক অনুদানে পাকা মন্দির নির্মিত হয়। প্রতি বছর কার্তিক মাসে এখানে কালীপূজা ও মেলা হয়।
জমিদার পূণ্য চন্দ্র দাস মন্দিরের নামে প্রায় দেড়’শ বিঘা জমি দান করেন। কালী মন্দির ও গোবিন্দ মন্দির চত্ত্বরের আট বিঘা মতো জমি ছাড়া সব বেদখল হয়ে গেছে। পাক-ভারত উপ-মহাদেশের প্রাচীনতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম এই মন্দিরে পূজা চলাকালীন শতাধিক পাঁঠা বলি হয়ে থাকে।
প্রতিমা নির্মাতা লালপুরের জোতদৈবকী গ্রামের সুকুমার হালদার জানান, কালী প্রতিমার উচ্চতা ৩৩ ফুট। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় কালী প্রতিমা। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি এই প্রতিমা নির্মানের কাজ করছেন। সময় লাগে ১২ দিন। ইতিমধ্যে প্রতিমানার কাঠামো নির্মান ও মাটির প্রলেপ শেষ হয়েছে। রঙে-তুলির কাজ শেষ হলে আসনে উঠবে। তার সাথে প্রতিমা নির্মানে সহায়তা করেছেন ছেলে ছেলে সনজিত কুমার হালদার।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মুকুল কুমার সাহা জানান, ইতিহাসের এই নিদর্শনের সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top