logo
news image

বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে চালু হতে যাচ্ছে পূর্ব ইউরোপীয় দেশ বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ লক্ষ্যে হট-ট্রায়ালের জন্য কেন্দ্রের স্টার্ট-আপ কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকল্পটির স্টার্ট-আপ কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য তুরষ্ক, মিশর, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, উজবেকিস্তান ও রাশিয়ার ৫০ জনের অধিক গনমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দকে আমন্ত্রন জানায়। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে নির্মীয়মান পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনার জন্য বেলারুশ প্রকল্পটি রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত বলে নির্মাণকারী রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান রসাটম প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্টার্ট-আপ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন অংশ যেমন টার্বাইন হল, ৩৩০কে.ভি. গ্যাস-ইন্সুলেটেড সুইচ গিয়ার বিল্ডিং, স্প্রে-পুল ইত্যাদি ঘুরে দেখানো হয়। প্রথমবারের মতো বিদেশি গনমাধ্যমের সম্মুখে প্রকল্পটির আকাশ প্রতিরক্ষা এবং জরুরী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সী (আইএইএ) গাইডলাইন অনুসরন করে উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে বাস্তবায়িত হচ্ছে বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মতে চতুর্থবারের মতো বিদেশি সংবাদমাধ্যমের জন্য প্রকল্প পরিদর্শন আয়োজনের মাধ্যমে এটাই প্রমানিত হয় যে বেলারুশ আগ্রহী সকলের সঙ্গে উন্মুক্ত ও গঠনমূলক ডায়ালগে বিশ্বাস করে।
গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ এ জাতীয় ভিজিটের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কেননা, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতামত আদান-প্রদানের পাশাপাশি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে সরাসরি তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়াও বেলারুশ প্রকল্পের নির্মান কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে এটি একটি যথাযত পদক্ষেপ বলে মত প্রকাশ করেন পরিদর্শনকারী গণমাধ্যম প্রতিনিধি।
বেলারুশের এনার্জি বিষয়ক মন্ত্রী ভিক্টর কারানকেভিচ জানান, “২০০৭ সালে বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচী গ্রহন করে। এর মাধ্যমে দেশটির এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ চাহিদাই পূরন হবে না, বরং উৎপাদিত বিদ্যুৎ হবে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য। এনার্জি উৎসের বহুমূখীকরন এবং গ্রীনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাসে আমাদের এই কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে”।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বেলারুশ প্রকল্পেও রুশ সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক ২টি ইউনিট নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top