logo
news image

সারা বিশ্বকে নিজের দেশ মনে করি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাষ্ট্র।।
বাংলাদেশের পতাকা-কন্যা হিসেবে পরিচিত নাজমুন নাহার সোহাগী বলেছেন, ‘সারা বিশ্বকে নিজের দেশ মনে করি। বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দেশে দেশে, বিশ্বের নানা প্রান্তে গিয়ে পেয়েছি এক ভিন্ন অনুভূতি। বিশ্বের সব মানুষের ভালোবাসা আর সংগ্রামের নানাদিক প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে। দেশকে বুকে ধারণ করার অনুভূতিটা সম্পূর্ণ আলাদা।’
নাজমুন নাহার বিশ্বের আনাচে-কানাচে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল পেরিয়ে দেশের পতাকা বহন করে ইতিমধ্যে ঘুরেছেন ১৩০টি দেশ। অদম্য মানসিক শক্তিকে পুঁজি করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভ্রমণে ভিসা নয়, আমি গুরুত্ব দিই লাল-সবুজের পতাকাকে। মানুষ চাঁদে গেছে পতাকা হাতে।
২৮ আগস্ট নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে নাজমুন নাহারের সঙ্গে এক আড্ডা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা খবর ডট নেট। আড্ডায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলা খবর ডট নেট-এর সম্পাদক শওকত ওসমান রচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এই অনলাইন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আল আমিন।
আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক, বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। নাজমুন নাহারের প্রায় এক ঘণ্টা টানা অভিজ্ঞতার বর্ণনা শেষে তাঁকে নানা প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। আড্ডার শুরুতে নাজমুন নাহারের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে নাজমুন নাহারের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেন অতিথিরা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মনজুর আহমেদ, সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদক ফজলুর রহমান, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী, টাইম টেলিভিশনের সিইও এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, সাপ্তাহিক প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সিনিয়র সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, মুক্তিযোদ্ধা মুকিত চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক মুজাহিদুল আনসারী, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট কামাল হোসেন মিঠু, অধ্যাপিকা হোসনে আরা, বাংলাভিশন টেলিভিশনের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি ও ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিক, দৈনিক সংবাদ-এর নিউইয়র্ক প্রতিনিধি সঞ্জীবন সরকার, ফটো সাংবাদিক এ হাই স্বপন ও খোরশেদ আলম রিংকু, প্রথম আলোর মঞ্জুরুল হক, সাপ্তাহিক জনতার কন্ঠ-এর প্রকাশক শামসুল হক, অনলাইন ইউএস বাংলা পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ হামিদ, জ্যামাইকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি শেখ হায়দার আলী, বাগেরহাট জেলা সোসাইটির সেক্রেটারি খোন্দকার মুরাদ হোসেন, বিএসএ অব এনওয়াই প্রেসিডেন্ট শেখ আল আমিন প্রমুখ।
২০১৮ সালের ২৩ মার্চ ‘তারুণ্যের আইকন’ উপাধি পান অনন্যা সম্মাননার মাধ্যমে। তার বিশ্ব অভিযাত্রার মাইলফলকের সম্মাননা স্বরূপ জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি পান। এ ছাড়া ওই বছর অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা লাভ করেন। এ ছাড়া পান জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড।
১৯৭৯ সালের ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর জেলার গঙ্গাপুরে জন্ম নেওয়া নাজমুন নাহার শিক্ষাজীবনে সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ‘এশিয়ান স্টাডিজ’ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন ২০০৯ সালে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘হিউমান রাইটস অ্যান্ড এশিয়া’ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১৫ সালে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ২০০৪ সালে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ১৯৯৬ সালে, দালাল বাজার এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ১৯৯৪ এবং নন্দনপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top