logo
news image

বড়াইগ্রামে অচল রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামনাটোর
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক আন্দোলনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত শনিবার থেকে কলেজের ক্লাশ-পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 
কলেজ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়া এবং নিয়মিত ক্লাশে উপস্থিত না হওয়ায় কলেজ পরিচলনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক  ২২জন শিক্ষকের আগষ্ট মাসের বেতন থেকে একদিনের বেতন কর্তন করেন অধ্যক্ষ। এর প্রতিবাদে শনিবার থেকে অধ্যক্ষের নামে নানা অনিয়মের অভিযোগে  ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন তারা। এদিকে রোববার থেকে ক্লাশের দাবীতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। উভয় আন্দোলনে কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সোমবার সরেজমি কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকগণ একটি কক্ষে বসে সভা করছেন। কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরা ফেরা করছে। কোন ক্লাশ-পরিক্ষা চলছে না।
এসময় কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল মন্ডল, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কিরণ, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন চলতে পারেই। তবে আমাদের ক্লাশ বন্ধ করে কেন। তাই আমাদের ক্লাশ নিয়মিত করণের দাবী জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে।  
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুঘলক বলেন, পরিচলনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শোকদিবসে অনুপস্থিত ও নিয়মিত ক্লাশে হাজির না হওয়ায় ২২ জন শিক্ষকের একদিনের বেতন কর্তন করা হয়। বেতন কর্তন করায় তারা অযৌক্তিক ভাবে আন্দোলনে নেমেছেন, আমার নামে নানা অপবাদ দিয়ে অভিযোগ তুলছেন। আমি শিক্ষকদেরকে আন্দোলন না করে লিখিত দাবী জানাতে বলেছি। সেটা না করে উল্টো আন্দোলনের নামে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করছেন। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক তুহিন এবং ইংরেজির শিক্ষক রুহুল আমিন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সভাপতিসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানানো হয়েছে। তারাই পরবর্তী করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।
সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক তুহিন এবং ইংরেজির শিক্ষক রুহুল আমিন অধ্যক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষের দীর্ঘদিনের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ২২ শিক্ষকের বেতন কেটে মুখ বন্ধের চেষ্টা করছেন। তিনি অবৈধ ভাবে কলেজের সম্পদ লুট করে ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আবার বেতন কর্তনের আগে মৌখিক ও লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জানানোর দাবী করেছি। তারা বলেন, আমাদের দাবীর সাথে কলেজের সকল শিক্ষক (৬২ জন) একমত। আমরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ লিখেছি কিন্তু পরিচালনা কমিটির সদস্য বিষয়টি দেখবেন বলায় অভিযোগ জমা দেয়া হয় নাই। তারা আরও বলেন, আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের ভাড়া করা। তারা মোটেও ক্লাশে আসে না হাজিরা খাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। তবে আমরা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামীদিন থেকে নিয়মিত ক্লাশ-পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবো।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top