logo
news image

রাশিয়ার দুরাপ্রাচ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের চুকোতকা অঞ্চলের পেভেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে দেশটির আর্কটিক শহর মুরমান্সক থেকে গত আগস্ট ২৩, ২০১৯ যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভ। ৪,৭০০ কি.মি. অতিক্রম করে পেভেকে পৌছানোর পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অত্র এলাকায় নির্মল বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ করবে।
ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রার অনুমতি প্রদানকালে রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রধান নির্বাহী আলেক্সি লিখাচভ বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং একই সঙ্গে চুকোতকা অঞ্চলের জন্য এটি একটী গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। একাডেমিক লামানোসভ পেভেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো এবং এটি এতদ্বঞ্চলের জনগন ও বানিজ্যের জন্য নির্মল এনার্জির নিশ্চয়তা প্রদান করবে। আর্ক্টিক অঞ্চলের টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে ভাসমান বিদ্যুৎ ইউনিটটি”।
যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে মুরমান্সকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপারেটর কোম্পানি রসএনার্গোএটম (রসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) কে রাশান বুক অফ রেকর্ডসের পক্ষ থেকে এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হয় যে, একাডেমিক লামানোসভ বিশ্বের সর্ব উত্তর অঞ্চলে প্রথম পারমাণবিক স্থাপনা। উল্লেখ্য, বর্তমানে পেভেক অঞ্চলে যে দু’টি জীবাশ্ম জ্বালানী ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে একাডেমিক লামানোসভ।
বর্তমানে, ছোট বিদ্যুৎ রিয়্যাক্টর শিল্পে একটি প্রতিশ্রæতিশীল শাখা হচ্ছে ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অত্যন্ত দূরবর্তী অঞ্চল এবং দ্বীপ গুলোতে গ্রীন এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এগুলো অত্যন্ত উপযোগী। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ রসাটমের এ জাতীয় বিদ্যুৎ প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করছে। রসাটম বর্তমানে দ্বিতীয় প্রজন্মের অপটিমাইজড ফোটিং পাওয়ার ইউনিট নিয়ে কাজ করছে, যে গুলো রপ্তানির জন্য সিরিজ আকারে উৎপাদন করা হবে।
একাডেমিক লামানোসভে দু’টি কেএলটি-৪০সি মডেলের পারমাণবিক রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে; প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫মেগাওয়াট।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top