logo
news image

শিক্ষা কারিক্যুলামে যুক্ত হচ্ছে নতুন অধ্যায়

প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক।।
২০২১ শিক্ষাবর্ষের জাতীয় শিক্ষা কারিক্যুলামে ‘উৎপাদনশীলতার ধারণা’ শীর্ষক নতুন একটি অধ্যায় সংযোজিত হতে যাচ্ছে।
উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতেই নতুন এ অধ্যায় সংযোজন করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) উদ্যোগে প্রণীত খসড়া কনটেন্ট ইতোমধ্যেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) পাঠানো হয়েছে।
এটি এসএসসি এবং দাখিল (ভোকেশনাল) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম,এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল, এনপিও’র পরিচালক এস.এম আশরাফুজ্জামান এবং বিসিআইসি, নাসিব, বিইএফ, বিজেএমসি, এমসিসিআই,এফবিসিসিআইসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায়,রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্রকরণ, জেলা পর্যায়ে বিসিক শিল্পনগরিগুলোতে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি’র মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন, ট্রেডবডিগুলোর সাথে এনপিও’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়।
এতে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’র আওতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। একই প্রতিষ্ঠান যাতে বার-বার এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত না হয়, সে লক্ষ্যে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের উদ্যোক্তাদেরকেও এর জন্য আবেদনে আগ্রহী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এনপিও’কে নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রয়োজনে আবেদন ফরমের সরলীকরণের ব্যবস্থা নিতে এনপিও’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর অপচয় ও অদক্ষতা দূরীকরণে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে চিনিকলগুলোর রিকভারির হার বাড়াতে উন্নত ইক্ষুজাত উদ্ভাবন এবং মাঠ পর্যায়ে এর ব্যবহার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তও হয়।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসেবে বিভিন্ন ট্রেড বডির সাথে এনপিও’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
খুব শিগ্গির বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার, লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
এর আলোকে এনপিও থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডির সদস্যদেরকে নিজ নিজ শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিকমানের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিসও দেয়া হবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পসচিব বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুণলেও এগুলোকে লাভজনক করার সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লোকসানি হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে এবং এর আলোকে আসন্ন মাড়াই মওসুমে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এ মওসুমেই চিনি শিল্পের ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পসচিব চিনিকলগুলোর পাশাপাশি বিসিআইসি এবং বিএসইসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কারখানাগুলোতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও লিকেজ দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top