logo
news image

সাস্ট ক্লাব নির্বাচন: সাধারণ সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত রূপই হচ্ছে সাস্ট।  আগামী ১৯ জুলাই সাস্ট ক্লাবের প্রথম কার্যকরী কমিটি নির্বাচন। নির্বাচনে ১১টি পদে ২৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের সাস্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৪৯৭ জন। এর মধ্যে বিদেশে অবস্থান করছেন ১০৭ জন। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন।  প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন, মো. আক্তারুজ্জামান চৌধুরী রিন্টু (০১৮৯), মুস্তফা মনওয়ার হাশেম সুজন (০৩৬২) ও  মো. মাহাবুবুর রহমান দিপু (০১৪৯)। ।  নির্বাচনে বিজয়ী হলে কী করবেন সে বিষয়ে কথা বলেছেন তাঁরা।   
মো. আক্তারুজ্জামান চৌধুরী রিন্টু (০১৮৯):
সাস্ট ক্লাব নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে আরেক প্রার্থী হলেন শাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র  মো. আক্তারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বর্তমানে পেশাদার ব্যবসায়ী। তিনি ছাত্রলীগ শাবি শাখার সাবেক সঞ্জিত-রুবন কমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন। সাস্ট ক্লাবের প্রথম সিলেকটেড কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি এখনো দায়িত্ব পালন করেছেন। সাস্ট ক্লাব নির্বাচনে ইশতেহারে তিনি বলেছেন, অতীতে ঢাকায় আয়োজিত ইফতার মাহফিল, পিকনিক, ঈদপুনর্মীলনী, বৈশাখী উদযাপনসহ বিভিন্ন গেটটুগেদারে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি ক্লাবের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ দুই বছর করাসহ আইন ও উপবিধির অসঙ্গতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন। ইশতেহারে এছাড়াও তিনি ক্লাবের বর্তমান অফিস পরিবর্তন, ক্লাবের আয় বৃদ্ধির জন্য ক্যান্টিন স্থাপন,  সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রতিবছর নিয়মিত ইফতার মাহফিল, পিকনিক করাসহ ৮ দফা অঙ্গীকার করেন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাথী  মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান চৌধুরী রিন্টু বলেন, সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, আগামী ১৯/০৭/২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য সাস্ট ক্লাব নির্বাচন ২০১৯ এ আমি “সাধারণ সম্পাদক” পদপ্রার্থী । আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র। আমার জীবনের সবচেয়ে  সুন্দর সময় আমি  বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ও আপনাদের  দোয়া/আর্শিবাদে আজকে তিনি আমাকে যে অবস্থায় রেখেছেন তার জন্য আমি আমার প্রানের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনেক ঋনী।
বিগত কয়েক বছর যাবৎ আমি শাহজালাল  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক ইভেন্টে  নিজেকে জড়িত রাখার সর্বাত্তক চেষ্টা করেছি। আমার একটা উপলব্ধি এসেছে যে, এখন বোধহয় সময় এসেছে আমার প্রানের বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছু দেয়ার। সেই উপলব্ধি থেকেই আমি আমার সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের রি-ইউনিয়ন, সিলভার জুবিলি এবং বিভিন্ন  বিভাগের বিভিন্ন আয়োজনে আমি আমার অবস্থান থেকে জড়িত থাকার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও ঢাকাতে আয়োজিত ইফতার মাহফিল, পিকনিক, ঈদ পুর্নমিলনী, বৈশাখী উদযাপন সহ গেট টুগেদারে আমি সব সময় নিজেকে ওতোপ্রতভাবে জড়িত রেখেছি। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রদের মানবিক আবেদনে আমি আমার  ক্ষুদ্র সামর্থ অনুযায়ী সাড়া দিয়েছি।
প্রিয় সদস্যবৃন্দ, সাস্টিয়ান আবেগ একটি ব্যতিক্রমি বিষয়। আমার মনে হয় না, অন্যকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে এ ধরণের আবেগ বিদ্যমান। দীর্ঘদিন যাবৎ সাস্টিয়ানগন এই আবেগকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের চেষ্টার ফলশ্রুতিতে গত ২০১৮ ইং সালে অনেক চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে আমাদের সকলের প্রিয় সাস্ট ক্লাব লিমিটেড গঠিত হয়েছে। আমি ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সাধারন সম্পাদক হিসাবে ক্লাবের অগ্রযাত্রায় আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আপনাদের জন্য আরও অনেক কাজ করার বাকী। আগামী ১৯/০৭/২০১৯ ইং তারিখে সাস্ট ক্লাব নির্বাচনে আপনারা আমাকে সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ী করলে আমি নিম্নলিখিত কাজগুলো আপনাদের সহযোগিতায় সম্পাদন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিঃ
১.  কোম্পানী আইন ও উপবিধি পর্যালোচনা করে সাস্ট ক্লাবের বিদেশে অবস্থানরত সদস্যদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহন এবং ক্লাবের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ ২(দুই) বছর নির্ধারণ করা সহ আইন ও উপবিধির সকল প্রকার অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণ;
২.  একটি নীতিমালার আওতায় সাপোর্ট ফান্ড গঠন করার মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থ সস্টিয়ানদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ  গ্রহন;
৩.  ক্লাবের বর্তমান অফিস পরিবর্তনের ও স্থায়ী অফিস স্থাপনের জন্য সবার সাথে আলোচনা করে স্থান নির্ধারণ করন;
৪.  ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সার্বজনীন ক্লাব হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহন;
৫.  ক্লাবের আয় বৃদ্ধির জন্য ক্লাবের অভ্যন্তরে কেন্টিন ও গেষ্টহাউজ স্থাপন,স্থায়ী অমানত, অনুদান গ্রহন;
৬.  ক্লাবের সদস্যদের চিকিৎসা ও বিনোদনের জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল ও কর্পোরেট হাউজের সাথে চুক্তি করার উদ্যোগ গ্রহন;
৭.  চাকুরী প্রত্যাশী সাস্টিয়ানদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা ও জব ফেয়ার আয়োজন করা;
৮.  প্রতিবছর নিয়মিত পিকনিক,ইফতার মাহফিল, ঈদ পুর্নমিলনী, ইনডোর গেমস ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ।
মুস্তফা মনওয়ার হাশেম সুজন (০৩৬২):
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সাস্টের পরিসংখ্যান বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র মুস্তফা মনওয়ার হাশেম সুজন। তিনি  পেশাদার সাংবাদিক। বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এসএ টিভিতে তিনি সহকারী বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ছাত্রলীগ শাবি শাখার জাকির-বাসিত কমিটিতে গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি শাবি কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ-শাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত মকদ্দুস-নবারুন-বাবু প্যানেল থেকে সহ-সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি, চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন ‘চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র সভাপতি, সাহিত্য পত্রিকা ‘আড্ডা’ও সিনেমা পত্রিকা 'প্রক্ষেপণ'র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার রয়েছে একাধিক গবেষণা গ্রন্থ। 'বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদ' তার অন্যতম গবেষণা গ্রন্থ। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাশ করেন। ইশতেহারে তিনি সাস্ট ক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ের জন্য রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণ, ক্লাবের সদস্য সংখ্যা অন্তত দুই হাজারে উন্নীত করা, সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা ৫ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা,  ক্লাবের মাসিক খরচ নির্বাহে জমা টাকার উপর চাপ কমানো, সুবিধাজনক স্থানে সাস্ট ক্লাব কার্যালয় স্থানান্তরসহ  ১১ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুস্তফা মনওয়ার হাশেম (সুজন) বলেন, প্রিয় সাস্টিয়ান, 'ঐক্যের ব্রত নিয়ে গড়ি সাম্যের মডেল' স্লোগানে মিলি  প্রাণের মেলায়। জীবনের অনেক স্মৃতি কালের ধুলোয় ধূসর হলেও আজও জ্বলজ্বল করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকাল। মাস্টার্সের রেজাল্টের পর ক্যাম্পাস ছাড়ার মুহূর্তে বুকের ভেতর ক্ষরণ অনুভব করেছি।পরবর্তীতে সবসময় বাসনা জেগেছে প্রিয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যেকোন উপায়ে সম্পৃক্ত থাকার। গত ২০ বছরে নানা অজুহাতে অসংখ্যবার ছুটে গেছি প্রাণের ক্যাম্পাসে। আবেগ, ভালোবাসা আর ঋণ পরিশোধের তাগিদ নিয়ে। বহুল প্রতীক্ষীত সেই শুভক্ষণ যেন সমাগত আজ।
সুপ্রিয় সুহৃদ, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা নিন। সাস্ট ক্লাব সাস্টিয়ানদের ভালোবাসার সুতিকাগার। স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু মাত্র তো শিশুকাল এর। গভীর মমতা আর ভালোবাসায় উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে একে। সেজন্য দরকার যথার্থ ও দক্ষ প্রতিপালক। হাজারো সাস্টিয়ানের মমতার এই শিশুটিকে  যতেœ বেড়ে তোলার দায়িত্ব দেয়া হবে যাদেরকে। তাই সাস্ট ক্লাবের প্রথম নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা-উত্তেজনার পাশাপাশি সব সদস্যের রয়েছে তীক্ষè নজর। স্বার্থ-দল-মতের উর্ধে এরকম নির্মোহ ১১ জনকে খুঁজছেন সচেতন সাস্টিয়ানরা। তারই অগ্নিপরীক্ষা ১৯ জুলাইয়ের নির্বাচন। শুধু ক্লাব সদস্য নয়, এ নির্বাচনে অন্তহীন আগ্রহ জন্মেছে সব সাস্টিয়ানের।
সাস্ট ক্লাবের প্রিয় স্বজন, এতো সব জেনে বুঝেই সাস্ট ক্লাব নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। দায়িত্বের বিশাল চাপ মাথায় নিয়ে ভালোবাসার ঋণ পরিশোধের সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে চাই। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য নির্বাচন। জোর জবরদস্তি বা পিঠ চাপড়ানো সিলেকশন হলে দূরেই থাকতাম বরাবরের মত। তা নয় বলেই এবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সাস্ট ক্লাবকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নেয়াই আমার প্রধান অঙ্গীকার। আর এক্ষেত্রে আমার পেশাগত ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা সর্বোতভাবে কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি রইল। নিজের কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করলেও বলা প্রয়োজন, আমি মুস্তফা মনওয়ার হাশেম (সুজন) সাস্টের ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র। ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স সনদ লাভ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি, চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন ‘চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র সভাপতি, সাহিত্য পত্রিকা ‘আড্ডা’, সিনেমা পত্রিকা 'প্রক্ষেপণ'র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ছাড়া, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক সিলেটের ডাক ও দৈনিক যুগান্তর এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েই দৈনিক যুগান্তরে সহ-সম্পাদক পদে যোগ দিয়ে পেশা জীবন শুরু।
এছাড়া দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ভোরের ডাক, অনলাইন সংবাদপত্র বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম, বিডিলাইভ  টুয়েন্টিফোর ডটকম, বাংলাদেশ জার্নাল, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থায় বিভিন্ন পদে কাজ করেছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসিতে মিডিয়া কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এসএ টিভিতে সহকারী বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছি। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার আগ পর্যন্ত আমার শৈশব কেটেছে মাইজদি শহরে। প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের স¤্রাট খ্যাত অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম আমার বাবা।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
১. সাস্ট ক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ের জন্য রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণ
২. ক্লাবের সদস্য সংখ্যা অন্তত দুই হাজারে উন্নীত করা
৩. সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা ৫ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা
৪. ক্লাবের মাসিক খরচ নির্বাহে জমা টাকার উপর চাপ কমানো
৫. অভিজাত ক্লাবের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে পদক্ষেপ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা প্রদান
৬. সুবিধাজনক স্থানে সাস্ট ক্লাব কার্যালয় স্থানান্তর
৭. সাস্টের সদ্য পাস করা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য প্রতিবছর জব ফেয়ার চালু
৮. সাস্ট স্কলারদের প্রতিবছর সম্মাননা এবং সদস্যদের সন্তানদের জন্য মেধাবৃত্তি চালু
৯. সদস্যদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন এবং গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থা করা
১০. সদস্যদের সুবিধার্থে অ্যাপস ও ওয়েবসাইট চালু
১১. সাস্টের সাবেক শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ ও ডিজিটাল ডিরেক্টরি তৈরি
এছাড়া, সাস্টিয়ানদের সমৃদ্ধি, সাম্য ও ঐক্য অটুট রাখতে অব্যাহত থাকবে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ। ঐক্য ও সাম্যের প্রতীক হিসেবে সাস্ট ক্লাবকে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ প্রয়াস চালাবো। রাজধানীর বুকে সাস্ট ক্লাব হয়ে উঠবে একটি মডেল।
সাস্ট ক্লাব নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে আপনাদের সহযোগিতা ও ভোট প্রত্যাশী। জয় হোক সাস্টিয়ানদের। সাস্ট ক্লাব চিরজীবী হোক।
মো. মাহাবুবুর রহমান দিপু (০১৪৯):
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের সাস্ট ক্লাব নির্বাচনে অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের  ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র মো. মাহাবুবুর রহমান। তিনিও ব্যবসা করেন। তৎকালে ছাত্রলীগ শাবি শাখার জাকির-বাসিত কমিটি তাকে জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয় । ১৯৯৮ সালে তিনি শাবি কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ-শাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত মকদ্দুস-নবারুন-বাবু প্যানেল থেকে সহ ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ইশতেহারের ভূমিকায় তিনি বলেছেন, সাস্টের প্রত্যেকের ভালোবাসা, আবেগ ও আকাংখার সম্মিলিত রুপ এই ক্লাব। ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যের কারণে এই আবেগ, ভালোবাসা এবং আকাঙ্খার বহি:প্রকাশে ভিন্নতা রয়েছে। তবে ভালোবাসার পথে প্রতিবন্ধকতা নেই। তিনি গ্রহণযোগ্য স্থানে ক্লাব কার্যালয় স্থানান্তর, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়ন, বার্ষিক ক্যালেন্ডার তৈরি, প্রতিটি জাতীয় দিবস পালন, রেস্টুরেন্ট ও জুস কর্নার স্থাপন, নিয়মিত বিরতিতে সপরিবারে অংশগ্রহণমূলক সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সাস্ট ক্লাব লিমিটেড, কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ এর একজন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আমার নির্বাচনী ইশতেহারের সারাংশ!
মো. মাহাবুবুর রহমান দিপু বলেন, সাস্ট ক্লাবে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে আমার অঙ্গীকার সকল সদস্যের জন্য সাস্ট ক্লাব লিমিটেড নিশ্চিতকরণ।
আমি যা যা করবোঃ
১। সকলের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ
২। অনূর্ধ ২৬ গ্রাজুয়েটদের সহযোগী সদস্যপদে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিতকরণ
৩। মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও সর্বোচ্চ সদস্য সংগ্রাহককে ‘মেম্বার অদ দি মান্থ’ খেতাব প্রদান  
৪। সর্বোচ্চ গ্রহনযোগ্য স্থানে ক্লাব কার্যালয় স্থানান্তর
৫। অসুস্থ সাস্টিয়ানদের চিকিতসায় অর্গানাইজেশন ও ওয়েলফেয়ার সাব-কমিটিকে পরিপূর্ণভাবে সম্পৃক্তকরণ
৬। টেকসই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকরণ
৭। ক্লাবের আয়বৃদ্ধির নিমিত্তে একাধিক উৎসের সন্ধান
৮। স্মোকিং জোন, লাইব্রেরী, নামাজ ও প্রার্থনার স্থান নির্ধারণ
৯। স্ব স্ব ক্ষেত্রে পারদর্শী সাস্টিয়ানদের নিয়ে কার্যকর সাব-কমিটি প্রনয়ণ
১০। ক্লাবের নিয়মিত মুখপাত্র নির্ধারণ ও ইমার্জেন্সি কন্টান্ট নাম্বার যুক্তকরণ
১১। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পোস্ট তৈরী
১২। বার্ষিক ইভেন্ট ক্যালেন্ডার প্রনয়ণ।
১৩। প্রতি ৬ মাস পরপর জব-ফেয়ারের আয়োজন।
১৪। বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস পালন।
১৫। অনলাইন/অফলাইন প্রিভিলাইজ শপিং প্রক্রিয়া চালুকরণ
১৬। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় স্কলারশীপ প্রাপ্তিতে সহায়তাকরণ
১৭। ক্লাবের রেস্টুরেন্টের জন্য বার লাইসেন্স নেওয়া না নেওয়া বিষয়ে সদস্যবৃন্দের নিকট মতামত আহবান।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top