logo
news image

ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলি বর্ষণের মামলায়েআরো ২ আসামীর আদালতে আত্মসমর্পন

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলায় বিএনপি’র আরও দুই আসামি মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পাবনার স্পেশাল ট্রাইবুনালের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। বিচারক রুস্তম আলী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণ করা ২ জন আসামি হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম টেনু। গত ৩০ জুন  আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
মামলায় রাষ্ট্রপরে আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আখতারুজ্জামান মুক্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৩০ জুন আদালত ৩০ আসামীর জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এই নিয়ে ৩২ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হলো। সোমবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আগামীকাল বুধবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছে।
মামলার সংপ্তি বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা  খুলনা হতে ট্রেনবহর নিয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের পূর্ব মূহুর্তে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা ল্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। ঈশ্বরদী ষ্টেশনে ট্রেনবহর যাত্রাবিরতি করলে পেছনের দিক হতে আবারো হামলা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংপ্তি করে শেখ হাসিনা দ্রæত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন।
 এসময় পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য এগিয়ে গেলে পুলিশকে ল্য করেও বোমা হামলা চালানো হয়। ঘটনায় ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিগত ২৫ বছরে আসামিদের  মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এই রায় নিয়ে ঈশ্বরদীর সর্বস্তরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি পরিলক্ষিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top