logo
news image

ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যাকান্ড নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুত্র তন্ময়

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
গত ২৮ শে জুন’ ২০১৯ তারিখের দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার অনলাইনে এবং  ৩০ শে জুন সাপ্তাহিক জনদাবী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ ‘মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যা : পুলিশের ব্যর্থতায় উদ্বিগ্ন মুক্তিযোদ্ধারা’ ও সেলিম হত্যাকান্ড- চলমান তদন্তে সন্তুষ্ঠ নন মুক্তিযোদ্ধারা’ শীর্ষক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিহত মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমের পুত্র তানভীর রহমান তন্ময়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তার ভূমিকায় মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন নিহত সেলিমের সহযোদ্ধা পাকশী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। তাই মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দিয়ে তদন্ত করে মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবার পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক রাজশাহীর (ডিআইজি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।’ এই বিষয়ে আমি বা আমার পরিবার অবগত নই।
তন্ময় বলেন, সংবাদে বলা হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সেলিম নিজ বাড়ি ও হাসপাতালে উপস্থিত সকলের সামনে বারবার বলেছিলেন, 'আমাক ডাকি আনি মারি ফেললি, গুলি করলি!' আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে নেয়া এবং মৃত্যু পর্যন্ত আমি সবসময়ই তাঁর পাশে ছিলাম। 'আমাক ডাকি আনি মারি ফেললি, গুলি করলি!'-এধরণের কথা  আমার বাবা এসময় বলেননি। এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক মনগড়া ভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিপ্রায়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।    
মুক্তিযোদ্ধা পুত্র আরো বলেন, সংবাদের একাংশে ‘কেন মামলার বাদী নিহত সেলিমের ছেলে তানভির রহমান তন্ময় লাশের ময়না তদন্ত ও মামলা করতে চায়নি।’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন হত্যাকান্ড এবং বিচারের বাস্তবতার কারণে ওই সময় আমি মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে একথা বলেছিলাম ঠিকই। কিন্তু পরবর্তিতে যথারীতি ময়নাতদন্ত  এবং মামলা দায়ের করা হয়। আমার বাবার হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সময়ে অনেক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও  ৫ মাস অতিবিাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন চার্জশীট দেয়া হয়নি। উপরোন্ত পুলিশ ওই মামলায়  আরজু বিশ্বাসকে আসামী হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের পর সে হাইকোর্ট হতে জামিন নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ‘অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবককে কেন বাদী স্থানীয়দের নিয়ে ছাড়িয়ে আনার জন্য পুলিশ সুপারের নিকট তদবির করেছে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তিনি জানিয়েছেন।
 তন্ময় জানান, কালের কন্ঠের ওই সাংবাদিক প্রকৃত আসামীদের আড়াল করার উদ্দেশ্যে বানোয়াট তথ্য দিয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনায় সাংবাদিকের এহেন কর্মকান্ডের জন্য ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কোন ভাষা আমার নেই। হত্যার সাথে জড়িত প্রভাবশালী মহলের নিকট হতে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে সাংবাদিক কর্তৃক এ ধরণের সিন্ডিকেট সংবাদ প্রকশের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top