logo
news image

সাস্ট ক্লাব নির্বাচন ও কিছু পরামর্শ

এনামুল কবির খান সুদান, সিডনী।  ।  
সাস্ট ক্লাব নির্বাচন এর আগে একটি ইস্যু নিয়ে বেশ জটিলতা তৈরী হয়েছে, আর তা হল যে সব মেম্বার জীবন জীবিকার প্রয়োজনে দেশের বাইরে বা ঢাকার বাইরে থাকে তারা কিভাবে ভোটিং এ অংশ নিতে পারে।  এ নিয়ে বিস্তর কন্সটিটুউশন ঘাটাঘাটি চলছে এবং এর সমাধান নিয়েও কথা বার্তা হচ্ছে। একজন প্রবাসী হিসেবে আজকে আমার ভাবনার (সমাধানের) কথা গুলো বলবো। যেকোন সমালোচনা ( সম + আলোচনা) বা বেটার আইডিয়া স্বাগতম।
বন্ধু শানু এর মধ্যেই একটি পিটিশন জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন বরাবর (অগ্রগতি এখোনো দৃশ্যমান নয়)। বিগত কয়েক দিনে আমি ক্লাবের কন্সটিটুউশন টি পড়ে দেখার চেষ্টা করেছি। কয়েকটা বিষয় আমার চোখে পড়েছে। আমি ক্রমানুসারে নীচে লিখছি-
১/ মেম্বার ক্যাটাগরি : যতদূর জানি প্রবাসী রা সবাই জেনারেল মেম্বারশিপ ই নিয়েছে, কেউ NRB ক্যাটাগরি তে মেম্বার নয়। সো ভোট দেয়ার অধিকার আমার ফান্ডামেন্টাল। যদিও কন্সটিটুউশন এ উপস্থিত থেকে ভোট দেয়ার কথা বলা আছে। তারমানে দাঁড়াল প্রবাসিরা বা ঢাকার বাইরে যারা আছে তার ভোট দিতে চাইলে ঢাকায় আসতে হবে। আপনি কি আশা করেন শুধুমাত্র ক্লাবের ইসি নির্বাচন এ ভোটের জন্য আমি সিডনী থেকে বা আরেকজন বান্দরবন থেকে তিনদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় যাব ?
২/ উপরোক্ত সমস্যা কি শুধু আমাদের? না, এ জাতিয় সমস্যা সব ক্লাব/ সংঘঠনেরই আছে আর এর সমাধান ও আছে। ব্যাপক প্রচলিত একটা উপায় হলো প্রক্সি ভোট, কিন্তু আমাদের কন্সটিটুউশন এ ব্যাপারে না করে দিয়েছে (যারা কন্সটিটুউশন কপি করেছে তাদের হয়তো কিছু যুক্তি আছে)। তাহলে উপায়?
৩/ উপায় টা বলার আগে একটু বলে নেই কেনো দেশের/ঢাকার বাইরের সদস্যদের ভোট দেয়াটা জরুরী। সংখ্যাত্বত্তের কারনেই জরুরী, শুধু জরুরী না অতীব জরুরী। ইতিমধ্যে এই শুনলাম শুধু প্রবাসী ই আছে প্রায় ২০% এর উপরে আর এর সাথে ঢাকার বাইরের সংখ্যাটা যোগ করি আমার ধারনা এটা ৪০% - ৫০% গিয়ে ঠেকবে। এখন আপনারা ই বলেন এই বিশাল সংখ্যার মেম্বাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাটা কতটা প্রয়োজনীয়!!!
৪/ বেশ কয়েকটি অপশন এসেছে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে ভোট দেয়ার। যেমন পোস্টাল/ অনলাইন ইত্যাদি। পদ্ধতিগত সিধ্বান্ত নেয়ার আগে নীতিগত সিধ্বান্ত নেয়াটা জরুরী।
আমার মনে হয় ক্লাবের বাইলজে টেলিপ্রেজেন্স/ডিস্টেন্স /অনলাইন ভোটিং সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ যোগ করা এখন সময়ের দাবী। যদিও অনেক দেরী হয়ে গেছে তবুও ইট ইজ বেটার লেট দেন নেভার। বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দের সংঘঠনের বাইলজে আধুনিক ধারনার সন্নিবেশ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান সময়ে অনলাইন ভোটিং খুবই সাধারন প্রাক্টিস।
৫/ নির্বাচন কমিশন অনলাইন ভোটিং এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ইসি কমিটিকে এ বিষয়ে সুপারিশ করতে পারে। এবং ইসি এই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধন এর জন্য এক্সট্রা অর্ডিনারী জেনারেল মীটিং এর ব্যবস্থা করতে পারে। আর এ জন্য হয়তো নির্বাচনটা কিছুদিন পেছানো (৩-৪ সপ্তাহ)লাগতে পারে। আর এই পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করছে ইসি এবং নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার উপর।
কাউকে সমালোচনা করা আজকের এই পোস্টের উদ্দ্যেশ না বরং আসুন আমরা সবাই মিলে একটা অর্থবহ সংগঠন দাঁড় করাই, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারবো।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top