logo
news image

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা

প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক।  ।  
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে থেসারিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রনে শুক্রবার (১২এপ্রিল) সকালে তিন দিনের সরকারী সফরে বাংলাদেশে আসলে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
রয়্যাল ভুটান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান (ড্রুক এয়ার) ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী এবং সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ৮টা ৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
ড. লোটের আগমন উপলক্ষ্যে ১৯ বার তোপধ্বনি ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে স্বাগত জানান। এ সময় ছোট্ট দুটি শিশু ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
পরে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের গিয়ে গঠিত একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরসঙ্গীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচয় করান।
মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রি পরিষদ সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ, তিনবহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিক কোরের ডীন এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পর্ব শেষে একটি সুশোভিত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন।
ডা. লোটে সাভারে বীর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশে তাঁর সফর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন।
সফরের প্রথম দিন বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে একটি ব্যবসায়িক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
শনিবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) এক বৈঠকে মিলিত হবেন।
বৈঠকের পরে, দুটি দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা, অভ্যন্তরীন কার্গো চলাচল সংক্রান্ত সহযোগিতা, স্বাস্থ্য এবং কৃষি খাত সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এরপরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর হোটেল কক্ষে তাঁর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাত করবেন।
পরে সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এরপরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত নৈশ ভোজে তিনি যোগদান করবেন ।
১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুরের ধারা আয়োজিত বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক আয়োজনে যোগ দেবেন।
একই দিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ডা. লোটে থেসারিং সেখানকার পুনর্মিলনীতে যোগ দেবেন এবং সেখানে ভাষণ প্রধান করবেন।
তিনি সেদিন বিকেলেই রাজধানীতে ফিরতে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সফরকালিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বিমসটেক সচিবালয় এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
সফর শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ১৫ এপ্রিল সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সম্পাদনায়: আ.স ১২.০৪.২০১৯

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top