logo
news image

নির্মানের সাত মাস পরেও তালাবদ্ধ লালপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

মোঃ মাজহারুল ইসলাম লিটন।। হস্তান্তরের সাত মাস পার হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হওয়ায় এখন পর্যন্ত তালাবদ্ধ আছে লালুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। ফলে সেখানে বসতে বা সেটি ব্যবহার করতে পারছেনা দেশের শ্রেষ্ট সন্তানরা। দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছর পরে নাটোরের লারপুরে জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক কোটি ৮৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৪ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিন তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে  ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ভবনটি হস্তান্তর করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
লালপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের দূর্ভোগ লাঘবে জায়গা প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের অংশ হিসাবে লালপুর উপজেলায় একটি আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়।  সে মোতাবেক লালপুর-বনপাড়া প্রধান সড়কের লালপুর ছয় রাস্তার মোড় নামক স্থানে আট শতক জমি অধিগ্রহন করা হয়। সেখানে ২০১৭ সালের ২৫ মে এক কোটি ৮৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৪ টাকা ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্যঃ এ্যাডঃ আবুল কালাম আজাদ। নির্মান শেষে ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ভবনটি হস্তান্তর করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হস্তান্তরের সাত মাস পার হলেও শুধু মাত্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হওয়ার অজুহাতে ভবনটি ব্যবহার করতে পারছেনা মুক্তিযোদ্ধারা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক জানান, অনেক দেরিতে হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের বসার জন্য নিজস্ব কোন ভবন ছিল না, কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের প্রাণের দাবীর প্রেক্ষিতে আধুনিক ভবনটি নির্মান করে দিয়েছেন। কিন্তু নির্মন কাজ শেষে ভবনটি সাত মাস আগেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর হলেও এখনো ভবনটি তালা বদ্ধ আছে। ফলে আমরা তা ব্যবহার করতে পারছিনা এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। নামপ্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা জানান, গত ২৬ মার্চ ভবনটি আমাদের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আমাদের বিশ্বাস ছিল কিন্তু তা হলোনা, এতে আমরা আশাহত হয়েছি, দ্রুত ভবনটি আমাদের জন্য খুলে দেওয়ার াবি জানান তারা।
কবে নাগাদ ভবনটি মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য খুলে দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মূল বানীন দ্যুতি জানান, ভবনটি খুলে দেয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি এটি উদ্বোধন করে দেশের শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top