logo
news image

কোহলির দক্ষিণ আফ্রিকা জয়

স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে অপেক্ষা ঘুচল ভারতেরÑ প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়। পরশু পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে অনুষ্ঠিত ছয় ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের ৭৩ রানে হারিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে বিরাট কোহলির দল।
প্রথম তিন ম্যাচই জিতে ইতিহাসটা নতুনভাবে লেখার কাজ আগেই সেরে রেখেছিল ভারত। বৃষ্টি আইনে না পড়লে হয়তো চতুর্থ ওয়ানডেতেই তা সম্পন্ন হতো। তা না হওয়ায় অপেক্ষা আরেকটু বাড়ে। দ্বিতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৫ বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচ সিরিজে জয় পেল ভারত। ১৯৯৬-৯৭ ও ২০০১-০২ মৌসুমে একই কীর্তি গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে এদিন ৭ উইকেটে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাবে ভারতীয় দুই স্পিনার কুলদ্বীপ যাদব ও যুজভেন্দ্র চাহালের ঘূর্ণীতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৪২.২ ওভারে ২০১ রানে। ধীর গতির ট্র্যাকে কুলদ্বীপ ৫৭ রানে ৪টি ও চাহাল ৪৩ রানে নেন ২ উইকেট।
আগের চার ম্যাচে ব্যর্থ রোহিতের ভাগ্য এদিন যেন লেখা হয়ে গিয়েছিল কোহলির রান আউটের পর। পরে অবশ্য রাহানেকেউ রান আউট করান রোহিত। তবে কোহলির রান আউটরে সঙ্গে রোহিতের অদ্ভুদ এক মিল লক্ষনীয়। ভারতীয় দলপতি রান আউট হলেই যে বড় ইনিংস খেলেন রোহিত! বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে দেখুন, ২০১১ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একই কান্ড ঘটার পর ৫৭ রান করেছিলেন রোহিত। এরপর ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলির রানআউট হওয়ার পর রোহিত খেলেন যথাক্রমে ২০৯, ২৬৪ এবং ১২৪ রানের ইনিংস! এই ধারাবাহিকতার বত্যায় ঘটেনি এবারো। এবার তিনি খেলেছেন ১২৬ বলে ১১৫ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ১৭তম সেঞ্চুরি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় (দেশটির মাটিতে প্রথম) এবং ওপেনার হিসেবে ১৫তম। ওয়ানডেতে ভারতীয় ওপেনারদের মধ্যে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। তবে এর কোনো কিছুই এদিন হতো না যদি তিনি ৯৬ রানে দাঁড়িয়ে ‘জীবন’ না পেতেন!

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top