রাজাপুর বইমেলা বাংগালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক ......শামসুর রহমান শরীফ এমপি
‘রাজাপুর বইমেলা বাংগালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক’। উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম রাজাপুর বইমেলার উদ্বোধনকলে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ এমপি একথা বলেছেণ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একুশে গ্রন্থাগার আয়োজিত ছয়দিন ব্যাপী ২০তম বইমেলার উদ্বোধনকালে এমপি শরীফ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পরাধীন বাংগালি জাতিকে তিনি শৃংখলমুক্তও করে গেছেন। তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, বাংগালি জাতি সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এখন যে প্রস্তুত তা বইমেলায় জনসমাগম প্রমাণ করে। দুর্নিতী, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহন করে দেশকে সোনার বাংলার পথে অগ্রসরমান করার জন্য এসময় তিনি সকলক এগিয়ে জন্য আহব্বান জানিয়েছেন।
মেলা বাস্তবায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মুলাডুলি ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম মালিথার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মদ হোসেন ভূঁইয়া, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ, একুশে গ্রন্থাগরের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, মুলাডুলি কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হক পাঠান, প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম স্বপন। সঞ্চালনা করেন, একুশে গ্রন্থাগার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহবুদ্দিন খান লিটন।
উলেখ্য, ১৯৯৯ সাল হতে পাবনা জেলা ও নাটোর জেলার সন্ধিক্ষণে এই বইমেল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিদিনই সন্ধ্যায় উন্মুক্ত মঞে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উৎসবমূখর পরিবেশে বই ছাড়াও আব্হমান বাংলার চিরায়িত ঐতিহ্য বিভিন্ন পসড়া সাজিয়ে শত শত দোকান বসে। মেলা উপলক্ষে ওই এলাকার বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-পরিজন এবং কুটুম্বের সমাগম ঘটে। দূর-দূরান্ত হতে হাজার হাজার মানুষ মেলায় সমাবেত হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য