logo
news image

রাবিতে ৫০ বছর মেয়াদী উন্নয়ন রূপরেখা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি।  ।  
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কাজের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০ বছর মেয়াদী উন্নয়ন রূপরেখা হাতে নেয়া হয়েছে। যেটাকে আমরা মাস্টারপ্ল্যান বলছি। রূপরেখা প্রণয়নে তথ্য-প্রযুক্তি ও অবকাঠামো সংকট দূর করাকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, সরকারের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কেও আমরা ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দেশের অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে রাবিতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এখনও পর্যন্ত বেশি। ৫০ বছর মেয়াদী উন্নয়ন রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রথম ডিজিটার বিশ্ববিদ্যালয় হবে রাবি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সাথে মতবিনিময়কালে উপাচার্য এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত্রতত্র অবকাঠামোগত কাজ করা যায় না। এতে নান্দনিকতা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে এ মাস্টারপৱ্যানের প্রয়োজন অনুভব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭৫’র পর যেসব সামরিক সরকার এসেছিল, তারা দেশ চালানোর জন্য কোনো পরিকল্পনার ধার ধারেনি। বিজয়ের ৪৭ বছর পর দেশ যেখানে আছে, তাতে যে কোনো কাজ করার জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তৈরিকৃত মাস্টারপ্ল্যানের রূপরেখায় যা কিছু থাকুক না কেন, একটা মিডিয়া সেন্টারও প্রয়োজন। সেটি পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ দেশের মানুষের সামনে সঠিকভাবে তুলের ধরার জন্য এটি খুব জরুরি।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণেও পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হচ্ছে। আমরা একাধিক ভবন নির্মাণ করে ইট-পাথরের ক্যাম্পাস তৈরি করছি না বরং একটি ভবনে অধিক ফ্লোর নির্মাণ করে অবকাঠামো সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আবাসিক সংকট নিরসনে হল নির্মাণ, শিক্ষকদের আধুনিক আবাসন নির্মাণ, অ্যাকাডেমিক ভবন ও গবেষণাগারে যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধকরণের কাজ করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত হয়ে ওঠা রাকসু নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে রাকসু নির্বাচন বিষয়ক কমিটি আলাপ-আলোচনা করছে। তাদের মতামত নিয়ে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, সবশেষ ১৯৬২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছিল। সেটি আর কার্যকর নেই। দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের দু’জন অধ্যাপক ৫০ বছর মেয়াদী উন্নয়ন রূপরেখা বা মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছেন।
রূপরেখার মেয়াদকাল হবে ২০১৮ থেকে ২০৬৭ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘমেয়াদী এ উন্নয়ন রূপরেখা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়াকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রূপরেখার মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম মিডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top