একুশের চেতনায় বঙ্গবন্ধু
আবুল কালাম আজাদ। ।
১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ছিলো রফিক সফিক সালাম বরকত সহ নাম না জানা আরো অনেকে। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই স্লোগানে মুখরিত রাজপথ,দেশের মানুষের মাঝে ,বাংলা ভাষার প্রতি গভীর অনুভূতি ছিলো বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের আর লড়াই সংগ্রামের বড় চালিকা শক্তি।।জাতির জনকের ছয় দফা আন্দোলন , উনসত্তোরের গন , একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চালিকা শক্তি ছিলো একুশের চেতনা, যেমনটা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন " যদি মৃৃত্যুর পরোয়ানা আমার সামনে এসে দাঁড়ায়, তাহলেও আমি শহীদের পবিত্র রক্তের সাথে বেঈমানী করবো না " স্বাধীনতা উত্তর জাতির পিতা স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা হলে ১৯৭৬ সালে আমাদের বিশ্ব বিদ্যালয়ের একুশের চেতনায় মিশে ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
একুশের চেতনায় খুঁজে পেয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু । আমরা সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে গোনা কয়েক জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সারা রাত ধরে হলের প্রতিটি রুমে রুমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী এমন পরিবারের ছাত্রদের খুঁজে বের করেছিলাম সকালে শহীদ দিবস পালনের উদ্দেশ্যে। লতিফ হল, আমীর আলী হল, এস এম হল সহ সকল হল থেকে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী ছাত্রদের খুঁজে বের করে সকাল ৬ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় শহীদ দিবস পালন করেছিলাম। ১৯৭৬ সালের একুশে ফেব্রুয়ারী তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে অনুভব করেছিলাম আরো মমতায় আর স্লোগান দিয়ে ছিলাম " বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাঁসি চাই ,দিতে হবে " সাথে ছিলো দেশ প্রেমের দৃঢ় প্রত্যয়ে।। পরবর্তী তে হাজারো লড়াই সংগ্রামে দিনে দিনে সে চেতনা আরো শক্তিশালী হয়েছে। দীর্ঘদিন পর জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একুশে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করার মাধ্যমে একুশের চেতনা কে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুমহান মর্যাদায় ।
জয় বাংলা ।। জয় বঙ্গবন্ধু ।।
* আবুল কালাম আজাদ: সাবেক সংসদ সদস্য, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া)।
সাম্প্রতিক মন্তব্য