logo
news image

যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল।  ।  
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান করতে আগে অনুমতি লাগে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পর পাঠদানের অনুমতি নেয়া হয়। সেজন্যই সারাদেশে যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় অনেকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। কাজেই এটা নিয়ে সরকার ভাবছে, সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় সরকারি এস.কে পাইলট হাইস্কুলে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের সময়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রুপান্তরের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, সরকার দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ নজর দিবে। ইতোমধ্যে এ সেক্টরে শিক্ষার্থীর হার শতকরা ২০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। সামনে এই হার আরও বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, কোচিং সেন্টার অনেক রকম আছে। তবে যেখানে শিক্ষকরা শ্রেণীতে পড়াশুনা না করিয়ে তাদের নিজেদের বাড়িতে বা কোন কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে বাধ্য করেন এবং সেখানে না পড়লে তাদের নম্বর কম দিয়ে ফেল করিয়ে দেন। এ রকম অপরাধ যারা করেন তাদের ধরতে সারাদেশে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই যারা বা যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোট বইয়ের ব্যবসা করছেন তাদেরকেও কঠোর হাতে দমন করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, ইউএনও আবদুল মালেক, মেয়র সাহাদাৎ হোসেন সুমন, মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মির্জাপুর এসে পৌছে উপজেলা পরিষদ চত্বরে “মুক্তির মঞ্চে” বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপরই আসেন মির্জাপুর এস.কে পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এরপর তিনি ভারতেশ্বরী হোমসের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top