ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করলেন শামসুর রহমান শরীফ এমপি
বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান জাতীয় সংসদে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে বিমানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন পাবনা-৪ আসনের জতীয় সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ। বিগত ৩০.০৫.২০১৫ তারিখ হতে ঈশ্বরদীতে বিমানের যাত্রী উঠানামা বন্ধ রয়েছে।
জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রীর উত্তরটি খুবই দায়সারা গোছের ছিল। তিনি বলেন, "কাজ চলছে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে"। এই অর্থ বছরে বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব নয় বলে তিনি সংসদকে অবহিত করেন। এসময় সম্পূরক প্রশ্নে জননেতা শামসুর রহমান শরীফ এমপি ঈশ্বরদী ইপিজেড, রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে বহু সংখ্যক বিদেশী নাগরিকের যাতায়াতের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এছাড়াও স্থানীয় জনগোষ্ঠির অনেকেই বর্তমানে কম সময়ে রাজধানীতে যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শরীফ এসময় আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের বিএনপি সরকার লোকসানের অজুহাতে এই বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান আমলে সকালে ও বিকেলে দিনে ২ বার ঈশ্বরদী হতে ঢাকায় বিমান যাতায়াত করতো।
উল্লেখ্য,রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আধিকারিকগণ এবং অনেক রাশিয়ান অনেক সময় জরুরী প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে হেলিকপ্টারে বিপুল টাকা খরচ করে যাতায়াত করেন। বিমান বন্দরটিতে এটিসি( এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) সহ অন্যান্য সকল অফিস এখনও চালু রয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরে যে রানওয়ে রয়েছে এই প্রস্থের রানওয়েতে অভ্যন্তরীণ রুটে বর্তমানে( প্রপেলার, বোয়িং) যে সকল বিমান চলাচল করে তা উঠানামা করা নাকি সম্ভব নয় ইতোপূর্বে বলা হয়েছিল। এই অবস্তায় নতুন রানওয়ে নির্মাণ অথবা বর্তমান রানওয়েটির সংস্কার হলে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরে যাত্রীবাহী বিমান চালু করা দ্রুত সম্ভব হবে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং শিল্প নগরী ঈশ্বরদীর এই বিমানবন্দরটিতে দ্রুত যাত্রীবাহী বিমান উঠানামার ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।
সাংসদ জনাব শামসুর রহমান শরীফ বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করায় ঈশ্বরদীবাসী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য