logo
news image

সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া (নাটোর)।  ।  
নাটোরের সিংড়ার গুড় নদীতে দীর্ঘ দুই যুগেও নির্মাণ হয়নি সেতু। যার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারপার হতে হয় দশ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে। গুড় নদীর কুতয়াবাড়ি পয়েন্টে একটি মাত্র ডিঙি নৌকা চেপে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩’শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী পারাপার হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সেতু নির্মানে দীর্ঘ প্রক্রিয়া হওয়ায় বর্তমানে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাই তাদের মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারে, পারে বই-খাতা নদীর পানি থেকে ভিজে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কতুয়াবাড়ি এলাকার হিরেনের ছেলে ঘাট মাঝী তপনের সাথে। তিনি বলেন, আমরা তো গরীব মানুষ, আমগো তো থাকন-খাওনেরই জায়গা নেই। ইঞ্জিন চালিত নৌকা কিনবো কেমনে। ভাই একটু ভালো করে ছবি তোলেন, এনে যেন তাড়াতাড়ি একটা সেতু হয়।
স্থানীয় শিক্ষিকা শাহারুবা বলেন, ছোট্ট ডিঙি নৌকা সব সময় ডুবু ডুবু অবস্থা হয়ে থাকে। আমি নিজেও একদিন নদীতে ডুবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এর পর থেকেই নদী পারাপারের সময় আতঙ্কে থাকি।
স্থানীয় কতুয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারদুল ইসলাম বলেন, এই নদী পার হয়ে সোহাগবাড়ি, কতুয়াবাড়ি, চকসিংড়া, শোলাকুড়া, বাগান পাড়া ও মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই ডিঙি নৌকায় চেপে নদী পারাপার হয়। প্রায়ই নৌকা থেকে অনেক শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে আহত হয়। আবার অনেকের বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। সব সময়ই শিক্ষকদের আতঙ্কে থাকতে হয়। এখানে কোন সেতু না হোক একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ঘাট নির্মানের জন্য অনেক জায়গায় আবেদনও করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি।
বিষয়টি সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতোর নজরে আনা হলে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সাথে স্থায়ী পারাপারের জন্য সেতু নির্মাণ করা যায় কিনা সে বিষয়ে এলজিইডির প্রকৌশলীর সাথে কথা বলা হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top