logo
news image

ফাল্গুনের পোশাক

‘আহা আজি এ বসন্তে, কত ফুল ফোটে...

সেইলরপয়লা ফাল্গুন মানেই যেন বাসন্তী রঙের মেলা। কিন্তু হলুদ আর বাসন্তীর ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে এবার বসন্তে পরার জন্য বেছে নিতে পারেন সবুজ, কমলা, গোলাপি বা পেস্তা রঙের পোশাক। এমনকি সাদা বা চাপা সাদার মাঝে এই রংগুলোও দেখাবে দারুণ উজ্জ্বল।

আমাদের দেশে উৎসবের পোশাক মানে শাড়ি আর পাঞ্জাবি। এবার পয়লা ফাল্গুনেও কী তাই চলবে? নাকি শাড়ি, পাঞ্জাবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে কুর্তা আর টি-শার্টও? আড়ংয়ের হেড অব ডিজাইন রাজেশ খাজুরিয়ার মতে, ‘আধুনিক পোশাক মানেই পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক নয়। ঐতিহ্যবাহী পোশাককে নতুন করে উপস্থাপন করাই হলো আধুনিকতা।’ ফ্যাশন-প্রেমীরা চান ভিড় থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে। তাঁরা চিরাচরিত তাঁত আর সুতি পোশাক পরেই ফ্যাশনে ভিন্নতা আনতে পারেন।

পাঞ্জাবি: অঞ্জনস, শাড়ি: বিবি প্রডাকশন, স্থান: কারিকর সিনোসরফ্যাশন হাউস কোরাল ক্লজেটের ডিজাইনার রুপো শামস বললেন, আঁচলে ফ্রিল দেওয়া শাড়ির এখন খুব চল। বাটিক ও টাইডাইও পুরোনো হয়ে যায়নি। তবে পুরো পোশাকে বাটিকের কাজ না করলেই চলে। শাড়ির বেলায় শুধু পাড় বা কুঁচির জায়গায় বাটিক থাকতে পারে। কামিজে বাটিক না করতে চাইলে বাটিকের কাজ করা ওড়না বা পায়জামা বেছে নিতে পারেন। এখন এমব্রয়ডারিও খুব জনপ্রিয় বলে জানালেন এই ডিজাইনার। সালোয়ার-কামিজ ও ব্লাউজে তাই পুরো এমব্রয়ডারির কাজ থাকতে পারে।

এ ছাড়া শাড়ির ওপর কেপ, কোট বা হাতা কাটা কটি পরেও স্টাইলে ভিন্নতা আনা যায়। বিবিয়ানার ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার মনে করেন, কামিজের কাটছাঁট আর ব্লাউজের বৈচিত্র্যই পোশাকে এনে দিতে পারে আলাদা বৈশিষ্ট্য। এক রঙের সুতি শাড়ির সঙ্গে ফুলেল ছাপা, রিকশা পেইন্ট বা গামছা প্রিন্টের ব্লাউজ পরতে পারেন।

আবার লা রিভের ডিজাইন ও ক্রিয়েটিভ পরিচালক মন্নুজান নার্গিস পরামর্শ দিলেন, এখন বেল স্লিভ, পাফ ও ট্রামপেট হাতার চল। কামিজ ও ফতুয়ার পাশাপাশি ব্লাউজেও এই কাটছাঁট চলতে পারে। স্ক্রুজ কাটের ব্লাউজ বা আঁচলে এই কাজও ভালো দেখাবে। আজকাল দুই ধরনের কাপড় দিয়েও পোশাকে নকশার চল এসেছে।

পোশাক: ড্রেসিডেলতাঁতের লম্বা অথবা সেমি লম্বা ফ্রক ছাঁটের কামিজ কিশোরী ও তরুণী সবাইকেই ভালো দেখাবে। মেয়েদের কামিজ আর ছেলেদের পাঞ্জাবিতে থাকতে পারে জামদানির মোটিফ। এখন ছেলেদের পাঞ্জাবিতে মোটা ও লম্বা স্টাইপের রাজত্ব চলছে। এর পাশাপাশি ফুলেল নকশার পাঞ্জাবিও ফাল্গুনে মানিয়ে যাবে। ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফটের প্রধান নির্বাহী খালিদ মাহমুদ খান বলেন, ছিমছাম ও আরামদায়ক কাটছাঁটে ছেলেদের জন্য এবার বসন্তের পোশাক নকশা করা হয়েছে। ছেলেদের উজ্জ্বল রঙের পাঞ্জাবি ও ব্যান্ড কলার ফতুয়ার গলা এবং বুকের কাছে থাকতে পারে সুতার কাজ। টি-শার্ট পরতে যাঁরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাঁদের জন্যও ফ্যাশন হাউসগুলো এনেছে বসন্তের টি-শার্ট। নিচের দিকে এক কোনায়, নয়তো শুধু বুকের কাছে স্ক্রিন প্রিন্ট ও অ্যাম্বুসের নকশা এনেছে নতুনত্ব। আবার ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবিও চোখে পড়ছে এখন।

 

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top