logo
news image

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে বাংলাদেশের প্রশংসা

প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক।  ।   

নেদারল্যান্ডসে প্রিপারেটরি কনফারেন্স অন পিসকিপিং শীর্ষক এক সম্মেলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডস ও রুয়ান্ডার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন সোমবার (১৪ জানুয়ারি) হেগে শুরু হয়েছে।
সম্মেলনে জাতিসংঘের পিসকিপিং অপারেশনস সংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জন পিয়েরে লাকোয়া এই প্রশংসা করেন। পিয়েরে লাকোয়া বাংলাদেশে তাঁর সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করছে তা প্রশংসনীয়। এ ছাড়া, তিনি বিপসট (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশনস অ্যান্ড ট্রেনিং)-এর মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণেরও প্রশংসা করেন। পিয়েরে লাকোয়া স্বাগতিক দেশের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের ওপর যেন আরও অধিক মনোযোগ দেওয়া হয় সেই আশাবাদও ব্যক্ত করেন।
সকালে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আংক বাইলেভেল্ট, দেশটিতে নিযুক্ত রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত জন পিয়েরে কারাবারাঙ্গা এবং শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক আফ্রিকান ইউনিয়নের কমিশনার এসমাইল ছেরুগি যৌথভাবে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশসহ প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার ও বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক ড. কে এম মাহিদ উদ্দিন।
সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল তাঁর বক্তব্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক শান্তি ও সুস্থির পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য সরবরাহে সর্বদা প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে আরও অধিক সংখ্যক নারী সেনা ও নারী পুলিশ সদস্যদের নিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনুরোধ পেলে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এ ধরনের সদস্য প্রদানে প্রস্তুত।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রাণ হারানো ১৪৫ জন বাংলাদেশিসহ পৃথিবীর সকল শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বেলাল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর মনোযোগী মর্মে আশ্বস্ত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যেকোনো যৌন হয়রানি ও অশ্লীল আচরণ বাংলাদেশ বরদাশত করে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী এবং শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রমে পরিবেশগত ক্ষতি যাতে কম হয় সে বিষয়েও বাংলাদেশ সজাগ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top