logo
news image

এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
মিরপুরের মতো সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দর্শকেরাও দেখল সেই ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ। অবশ্য খুলনা টাইটানস-রাজশাহী কিংসের ম্যাচ দেখতে দর্শকই এসেছেন মেরেকেটে হাজার পাঁচেক। স্বাগতিক দর্শকদের সব আগ্রহ সন্ধ্যায় সিলেট সিক্সার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ম্যাচে।
সিলেটের দর্শকদের আগ্রহ না থাকতে পারে, খুলনার দর্শকেরা নিশ্চয়ই ভীষণ খুশি—দূর থেকেই দেখলেন এ বিপিএলে তাদের প্রথম জয়। আর সেই জয়ে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি—তাইজুল ইসলাম। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট, মানে টেস্ট ছাড়া যাকে আপাতত আর কোনো সংস্করণে বিবেচনা করেন না বিসিবির নির্বাচকেরা, সেই তাইজুল আজ দেখিয়ে দিলেন সাদা বলেও তিনি ঘূর্ণি জাদু দেখাতে পারেন। ১০ রানে ৩ উইকেট, নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করলেন মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে।
সাদা বলে বা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এই যে নিজেকে প্রমাণ করা—কথাটা নিয়েই আপত্তি আছে তাইজুলের, ‘সাদা বলের ক্রিকেট আজই প্রথম খেলছি, আগে কখনো খেলিনি, এমন তো নয়। এর আগেও (সীমিত ওভারের ক্রিকেটে) জাতীয় দলে খেলেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি। বিপিএলও খেলেছি। সব সময় আমি সব ধরনের ক্রিকেটই উপভোগ করি।’
তাইজুলের কথার একটাই অর্থ, ‘আমাকে টেস্ট বোলার বলবেন না প্লিজ!’ সত্যিই তো, ওয়ানডে অভিষেকেই যে হ্যাটট্রিক করা যায় সেটি তাইজুলই করে দেখিয়েছেন (২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। তবুও কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রঙিন পোশাকে তাঁকে দেখা যায় না? কঠিন প্রশ্ন। তবে তাইজুল আশা হারানোর পাত্র নন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেরা বোলিং তাঁকে নিশ্চয়ই নতুন করে উজ্জীবিত করছে! এ কথাতেও দেখা যাচ্ছে তাইজুলের আপত্তি, ‘ক্যারিয়ার এখনো পড়ে আছে। ক্যারিয়ার তো শেষ হয়নি!’
তা ঠিক, ভবিষ্যতে তাইজুলের আরও দুর্দান্ত কিছু করার সম্ভাবনা যেমন আছে, টানা চার ম্যাচ হারা খুলনা টাইটানসের সম্ভাবনা আছে বিপিএলের শেষ চার খেলা। তাইজুল বড় আশা নিয়ে বলছেন, ‘এখনো আমাদের সাতটা ম্যাচ আছে। এই ৭ ম্যাচের মধ্যে যদি ৪-৫ ম্যাচ জিততে পারি পরের ধাপে যাওয়া অসম্ভব নয়। পরের ধাপে যাওয়ার লক্ষ্যেই আমরা খেলব।’
সে না হয় খেললেন। কিন্তু এটা তো ঠিক, টুর্নামেন্টের শুরুতে খুলনা টানা হেরে ভীষণ চাপেই পড়ে গিয়েছিল। তাইজুল জানালেন সেই চাপ সামলে কীভাবে সিলেটে এসে জয়ের দেখা তাঁরা পেলেন, ‘ক্রিকেটে সব সময়ই চাপ থাকে। আমরা টানা চারটা ম্যাচ হেরেছি। এ অবস্থায় একটা দল অবশ্যই পিছিয়ে থাকে, এ সময় চাপ একটু বেশি থাকে। অফিশিয়াল-টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আমাদের ভেঙে পড়তে মানা করেছে।’
ভেঙে না পড়ার ফল পেয়েছেন তাইজুলরা। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে টাইটানসদের।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top