logo
news image

শিক্ষায় মন্ত্রীত্ব পেলেন যাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।  । 
শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের  দায়িত্ব পেয়েছেন  সাবেক পররাষ্ট্র  ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন  ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
চাঁদপুর সদর থেকে নির্বাচিত ডা. দিপু মনি গত মেয়াদে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের তালিকায় তিনি। ডা. দীপু মনি ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেমম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এম এ ওয়াদুদ ও মাতা রহিমা ওয়াদুদ। এম এ ওয়াদুদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মকালীন সদস্য, ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিক এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কাউন্সিলে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।ডা. দীপু মনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে লেখাপড়া ও ডিগ্রি অর্জন করেন। ডা. দীপু মনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. জাকির হোসেন। মো. জাকির হোসেন ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার মন্ডলপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মো. সামসুল হক মন্ডল এবং মাতা মোছাম্মাৎ জোলেখা খাতুন।
মো. জাকির হোসেন চিলমারীর থানাহাট এ ইউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তিনি কুড়িগ্রামের রাজাহাট মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি এবং লালমনিরহাটের হাতিবান্দা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজে থেকে বিএ পাস করেন। এরপর রংপুর আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন মো. জাকির হোসেন।মো. জাকির হোসেন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে শ্রম, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মো. জাকির হোসেন ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোদ্ধা হিসেবে এবং ভারত বাংলাদেশ বড়াইবাড়ী যুদ্ধে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী:
শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন  চট্টগ্রামের সদর আসন খ্যাত চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে তরুণ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছাতেই ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মত দেশের সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠনের নীতি নির্ধারনী কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে টানা সাড়ে ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন তারা বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আসীন থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জৈষ্ঠ পূত্র ব্যারিষ্টার নওফেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার নওফেল। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাবার পক্ষে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি। পিতা এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নির্বাচনে অদৃশ্য শক্তি হিসাবে কাজ করে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সুনজর অর্জন করেছিলেন ব্যারিষ্টার নওফেল। নির্বাচনী প্রচারনায় জনসম্পৃক্ত হওয়ার ব্যাপারে অধিক জোর দিয়ে বিএনপি শাসনামলে ঐতিহাসিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে চসিক পরিচালনায় পিতা মহিউদ্দীনের পেছনে শক্তি যুগাতেন তিনি। জনগনের মন জয়ের উদ্দেশ্য চসিককে জনবান্ধব ও জনকল্যানকর কাজের ধারনা দিয়ে নিরবে নিভৃতে কাজ করে গিয়েছিলেন এই তরুন আওয়ামী লীগ নেতা।
আর এই বিষয়গুলো ‘সেসময় থেকে দলীয় সভানেত্রীর নজরে ছিল যা বর্তমানে মহিবুল হাসান নওফেলের সাংগঠনিক পদে মূল্যায়নের নেপথ্যে কাজ করেছে’ বলে মনে করেন অনেকে। পরবর্তীতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে পারষ্পরিক সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে পেশীশক্তির রাজনীতিতে চরম অনিহা থাকা তরুন এই নেতার বিভিন্ন গুনাবলী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। এরমধ্যে বিগত চসিক নির্বাচনে পিতা মহিউদ্দীন চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় নেতা কর্মীদের চরম অসন্তোষের ঘটনায় দলীয় হাইকমান্ড বিব্রত হলে ডাক পড়ে ব্যারিষ্টার নওফেলের।
দলীয় অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে চট্টগ্রামে এসে নিজের বাবার রাজনৈতিক বলয়ের নেতা কর্মী সহচরদের অভিমান ভাঙিয়ে নির্বাচনমুখী করার কাজেও সফলতা পেয়েছিলেন তিনি।


সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top