logo
news image

মুখের অবাঞ্ছিত লোম প্রাকৃতিক পন্থায় দূর

বিভিন্ন প্রসাধনীর মাধ্যমে লোম তুলতে গেলে অনেক সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই নিরাপদ উপায় হতে পারে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে লোম ওঠানো।

প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার পন্থা এখানে দেওয়া হল। 

ওটমিল ও কলা:  দুই টেবিল-চামচ ওটমিলের সঙ্গে একটি পাকা কলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অবাঞ্ছিত লোম থাকা অংশে ১৫ মিনিট পেস্টটি মালিশ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে ওটমিল, দেয় আর্দ্রতা। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের লালচেভাব দূর করে। অবাঞ্ছিত লোম দূর করার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করবে এই পেস্ট।

লেবু ও মধু: প্রথমেই দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস এবং এক টেবিল-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।

এবার মিশ্রণটি তিন মিনিট গরম করে পানি মিশিয়ে পাতলা করতে হবে।

যেখানের লোম তুলতে চান সেখানে প্রথমে কর্নস্টার্চ মাখিয়ে তার উপর এই মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন। মিশ্রণ লাগতে হবে লোম যেদিকে বের হচ্ছে সেদিকে। এবার ওয়্যাক্সিং স্ট্রিপ কিংবা সুতি কাপড়ের সাহায্যে লোমগুলো টেনে তুলতে হবে।

টান দিতে হবে লোম যেদিকে বের হচ্ছে তার উল্টো দিকে।

মধু ত্বক ময়েশ্চরাইজ করে, তাই যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ।

আলু ও মসুর ডাল: এক টেবিল-চামচ মধু ও লেবুর রসের সঙ্গে পাঁচ টেবিল-চামচ আলুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে মেশাতে হবে সারারাত পানিতে ডুবিয়ে রাখা মসুর ডালের পেস্ট।

এবার মিশ্রণটি যে স্থানের লোম তুলতে হবে সেখানে ২০ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

মিশ্রণটি ত্বকের পাতলা এবং শক্ত আস্তর ফেলবে যা লোম তুলে আনতে সহায়ক। পাশাপাশি আলু চুল ব্লিচ করে দেয়, ফলে তা চোখে পড়ে কম।  

ডিম ও কর্নস্টার্চ: এক টেবিল-চামচ কর্নস্টার্চ ও চিনির সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ অবাঞ্ছিত লোমযুক্ত অংশে মাখিয়ে রাখতে হবে এবং শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ আঠালো, তাই এটি চিনি ও কর্নস্টার্চের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলে ত্বকের উপর পাতলা আস্তর ফেলবে।

তবে যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের এই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত হবে না। কারণ ডিমের সাদা অংশে আছে ভিটামিন এ, যা ব্রণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস এবং আট থেকে নয় টেবিল-চামচ পানি একত্রে মিশিয়ে নিন। এবার একে বুদবুদ উঠা পর্যন্ত গরম করুন।  

তারপর ঠাণ্ডা করে ২০ থেকে ২৫ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। ধোয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষে ওঠাতে হবে।

চিনি হল প্রাকৃতিক ‘এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট’। আর গরম চিনি চুলের সঙ্গে আটকে যায়; ত্বকে আটকায় না। অপরদিকে লেবুর কাজ করে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে, আর ত্বকের রং হালকা করতেও কার্যকর।

 

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top