logo
news image

নাটোর-১ঃ হঠাৎ প্রচারনার মাঠে নেই জাপাঃ দাপটে আওয়ামীলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে নির্বাচনী প্রচারনার মাঠে দাপটের সাথে আওয়ামীলীগের অবস্থান রয়েছে। শেষ মুহুর্তেও কোনঠাসা বিএনপি দুয়েকটি মিছিল ও ছোট ছোট গনসংযোগ করলেও ব্যাপকভাবে প্রচারনার মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তবে বাধাহীন ব্যাপক প্রচারনায় থাকা জাতীয় পার্টি  হঠাৎ প্রচারনার মাঠে নেই। মহাজোটের এ শরীক দলের কোন ঘোষনা ছাড়াই মাঠ ছাড়ায় সাধারন ভোটারদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ আসনের সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল নৌকা প্রতীক নিয়ে শুরু থেকেই প্রচারনার মাঠ দখলে রেখেছেন। ব্যাপক গনযোগ, সভা, সমাবেশসহ সব ধরনের প্রচারনা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নৌকা সমর্থকরা।  বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনটিতে শেষ মুহুর্তে তৈরি হওয়া ধানের শীষের প্রার্থী বিভ্রাটে সৃষ্ট আভ্যন্তরিন কোন্দলের বাড়তি সুবিধা পেয়েছে আওয়ামীলীগ। ফলে নির্বাচনী মাঠে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে আওয়ামীলীগ। তাদের সমর্থকরা বলছেন, নৌকার পক্ষে গন জোয়ার বইছে। নৌকার বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এদিকে শুরুতে গত ৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের কয়েক ঘন্টা পুর্বে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামরুন্নাহার শিরিন কে বাদ দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন দেওয়ায় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের মুনজুরুল ইসলাম বিমল ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছিলেন। বিভিন্ন বাধার মুখে তিনি প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও গত ২০ ডিসেম্বর প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিনী বিএনপির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিনের করা এক রিটে তাঁর (শিরিনের) পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দে হাইকোর্টের আদেশ পান। পরে ২৪ ডিসেম্বর ওই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেও চেম্বার আদালতে হেরে যান বিমল। ফলে ভোটগ্রহনের মাত্র ৫ দিন আগে প্রতীক পেয়ে প্রচারনার মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারছেন না বিএনপির প্রার্থী শিরিন। প্রচারনার ক্ষেত্রে দলটি এ আসনে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে সাধারন ভোটাররা। তবে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ, প্রশাসনের অসহযোগীতা ও আওয়ামীলীগের বাধার মুখে তারা প্রচারনা চালাতে পারছেন না।  
অপরদিকে, একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জাতীয়পার্টির সাবেক এমপি আবু তালহা লাঙল প্রতীক নিয়ে প্রচারনায় বাধাহীনভাবে মাঠে ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যাপক গনসংযোগ, পথসভাসহ বিভিন্ন প্রচারনা কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। মাইকিং ও পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে ফেলেছিলেন নির্বাচনী এলাকা। প্রচার ক্যাম্প স্থাপন করে নিয়মিত সমর্থকদের মাঠ দাপাতেও দেখা গেছে। কিন্তু গত দু’দিন থেকে হঠাৎ করেই প্রচার-প্রচারনার মাঠ ছেড়েছে জাতীয় পার্টি। আবার মহাজোটের শরিক হওয়ায় দলটি নৌকার প্রার্থীকে সমর্থনের কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষনাও দেননি। এর ফলে বিভ্রান্তিতে পড়েছে জাতীয় পার্টির সমর্থকরা। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার জাতীয় পার্টির এক নেতা জানান, শেষ মুহুর্তেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ আসনে মহাজোটের প্রার্থীতা পাওয়ার চেষ্টা চালাতে ঢাকায় রয়েছেন। ফলে দু-এক দিন প্রচারনা বন্ধ রয়েছে। তবে মহাজোটের শরীক হওয়ায় কেন্দ্রের দলীয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মতই পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই নেতা।  

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top