নাটোরে প্রথম আলোর সব কপি কিনলেন ছাত্রলীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর।
নাটোর শহরে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) আসা প্রথম আলোর সমস্ত কপি ছাত্রলীগের এক নেতা কিনে নিয়েছেন। তাই শহরের অন্য পাঠকেরা ছাপা প্রথম আলো পড়তে পারছেন না। নিয়মিত গ্রাহকরাও এ ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
আজ প্রথম আলোতে ‘সাংসদ শফিকুল বললেন, যাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন’ ‘সমাবেশ ঠেকাতে গণ হামলা?’ ও ‘বিএনপি নেতারা তালাবদ্ধ আধা ঘণ্টা পর মুক্ত’ শিরোনামে তিনটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
প্রথম আলোর নাটোরের বিক্রয় প্রতিনিধিরা ভোর পৌনে ছয়টায় প্রথম আলো প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, শহর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আজকের প্রথম আলো পত্রিকা বিলি না করার জন্য বলা হয়। এর কিছুক্ষণ পর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শহরের কানাইখালী পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে এসে বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সমস্ত প্রথম আলো কিনে নিয়ে যান। পরে দাম দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ফলে এজেন্ট ও হকাররা অন্য গ্রাহকদের কাছে পত্রিকা বিক্রি করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নাটোর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল সাকি ওরফে শুভ প্রথম আলো পত্রিকার আজকের সব কপি কেনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রয়োজন ছিল, তাই কিনে নিয়েছি। মূল্যও পরিশোধ করা হবে। অন্য গ্রাহকদের সাময়িক কষ্টের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।’
পত্রিকা না পেয়ে অনেক গ্রাহক, হকার ও এজেন্ট প্রথম আলো প্রতিনিধির কাছে মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মাদ্রাসা মোড় এলাকার প্রথম আলোর এক পাঠক বলেন , ‘ভালো-মন্দ যে খবরই ছাপা হোক একজন গ্রাহক সমস্ত পত্রিকা কিনে নিয়ে ভালো করেননি। এভাবে খবর চাপা রাখা যায় না। নাটোরে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর শাসনামলেও প্রথম আলোতে ‘দুলুর রাজ্যে সবাই বোবা’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে এভাবে পত্রিকা লুট করা হয়েছিল। তাতে ফল ভালো হয়নি।’
তবে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ থেকে অনেক পাঠক প্রিন্ট করে ফটোকপি করে একে অপরের মাঝে বিলি করছেন। স্টেশনবাজার এলাকার এক ফটোকপির দোকানদার জানান, অন্তত ২০ জন তাঁর কাছ থেকে প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘সাংসদ শফিকুল বললেন, যাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ফটোকপি করে নিয়ে গেছেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য