logo
news image

ভোট কেন্দ্র পাহারা ও ভোটারমনের জানা-অজানা শঙ্কা

-ড. মো: ফখরুল ইসলাম*
এবারের শীতের আমেজের মধ্যে দেশের চারদিকে এখন একটি সুর। নগর-শহর পেরিয়ে  গ্রাম-গঞ্জের আনাচে-কানাচে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বেজে চলেছে। চায়ের স্টলগুলোতেও দুধসরযুক্ত ধোঁয়াশে চা অথবা হেমন্তের নতুন চালের ভাপা পিঠার মৌ-মৌ গন্ধ ছাপিয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা ও বিতর্ক। আর মাত্র কয়েকটি দিন। তারপর এই মহাযজ্ঞের সাজ-সাজ রবের যবনিকাপাত ঘটবে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে গঠিত হবে নতুন একটি সংসদ। এটাই জাতির এই মুহূর্তের প্রত্যাশা! ইতো:মধ্যেই জনগণ জেনে গেছেন তাঁদের নির্বাচনী এলাকার সংসদীয় কান্ডারী পদে কে কে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন! শত বিপত্তির মাঝেও এমন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ জাতির জন্য বেশ আশাজাগানিয়া ব্যাপার বৈ কি!  
মোটামুটি সবাই অবগত আছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা। যেনতেন একটি নির্বাচন হয়ে যাবার পর সবাই ভেবেছিলেন এ সংসদ বেশীদিন টিকবে না। কিন্তুু কোনভাবে সেটা টিকে গিয়েছে পুরো পাঁচটি বছর! সবাই স্বীকার করবেন যে, একটি গৃহপোষ্য বিরোধীদল ও একটি আজ্ঞাবহ জনপ্রশাসন এবং একটি বহি:সেবাদাস চক্র গেল সংসদকে প্রভুত সহায়তা করেছে- ক্ষমতা টিকে রাখার জন্য। রাজনীতিতে আনকোরা হয়েও প্রায় বিনা ভোটের নির্বাচনে জয়লাভ করে জনদায়বদ্ধতা উপেক্ষা করার সুযোগে তারা অনেকেই বিরাট সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। অনেক অখ্যাত ব্যবসায়ীরা নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজেদের বিভিন্ন বেনামী, অবৈধ ব্যবসাকে (মাদক ব্যবসায়ী) অনৈতিকভাবে সম্প্রসারিত করার সুযোগ পেয়েছেন। এবারের নির্বাচনী হলফনামার বিবরণ অনুযায়ী গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে- গত দশ বছরে কেউ কেউ তাঁদের বৈধ আয় অপেক্ষা ৫২৭ গুন বেশী সম্পদ অর্জন করেছেন! (প্রথম আলো ০৮.১২.২০১৮)। সিপিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী গত দশ বছরে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে দেশের ব্যাংগুলো থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হযেছে (আমাদের সময় ০৮.১২.২০১৮)! দেশের কোটিপতি ধনী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হলো- গৃহিত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো সর্বত: জনঅংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি না হয়ে একচোখা উন্নয়নসূচি ছিল। যেখানে কাজ করানো হলেও পরিকল্পিত উপায়ে কাজ না করে দ্রুত দায়সারা কাজ করানো হয়েছে। এস.ডি.জি. অর্জনের রুপরেখার কথা বলা হলেও সেগুলো না মানায় টেকসই উন্নয়ন হয়নি। ফলে দেখা গেছে রাস্তা-ব্রীজ তৈরী বা মেরামতের ছয়মাস না যেতেই তা ভেঙ্গে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। উন্নয়ন ব্যয় বহুবার বহুগুণ বর্ধিত করেও মানুষ কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। অর্থাৎ, উন্নয়ন করা হয়েছে কিন্তু অদূরদর্শিতা, দলপ্রীতি ও অনৈতিকতা জড়িয়ে থাকায় সেগুলোতে উন্নয়নের ‘বরকত’ উধাও হয়ে গেছে।
দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী এক বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন দেশে এখনও তিন কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে।  দেশে শিক্ষিত বেকার শতকরা ৪৭ ভাগ পার হয়েছে এবং  দ্রুত এদের যথাযথ কর্মসংস্থান করা না গেলে একটি  ‘শিক্ষিত বেকার যুববিপ্লব’ ঘটে যেতে পারে। ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন ও রাস্তায় নৈরাজ্য নিয়ে একটি ‘কিশোর বিপ্লব’ সহ নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গেছে। এছাড়া, প্রতিনিয়ত ক্ষমতা হারানোর অজানা আশঙ্কায় বিরোধীদের দমন-পীড়নের মাধ্যমে ও গায়েবী মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠিয়ে নিজেরা টিকে থেকে ‘একাই খাব নীতি’ অবলম্বন করেছে। এমতাবস্থায় ক্ষমতাসীনরা প্রতিদ্বন্দ^ী বিরোধীদের জন্য একটি ভীতিকর ও নাজুক অবস্থা সৃষ্টি করে একটি আজ্ঞাবহ জনপ্রশাসন দিয়ে একটি ওপেন সিক্রেট বলয় তৈরী করে পুন:ভোটবিহীন নির্বাচন করার দ্রুত পদক্ষেপ নেন।  এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুব তোড়জোড় শুরু হয় এবং জনপ্রিয় বিরোধী রাজনীতিকদের নানা মামলায় জড়িয়ে জেলে আবদ্ধ রেখেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। আশা একটাই, বিরোধী দল ছাড়া পুন:রায় একটি জ¦ী-হুজুর মার্কা গৃহপোষ্য বিরোধীদল তৈরী করে সংসদে ফিরে যাওয়ার হীন চেষ্টা করা!
কিন্তু গেল দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন হয়েছে। বিবেকবান মানুষদের বিবেককে নানাভাবে রোধ করার চেষ্টা করা হলেও সবার বিবেকবোধকে রুদ্ধ করা যায়নি। বলা যায়- বিরোধীদলগুলো  যখন দিশেহারা এবং ক্ষমতাসীনরা যখন অত্যন্ত দ্রুততার সাথ নির্বাচনে যাবার জন্য প্রস্তুত তখন তাদের সাথে-- ’বিনা ভোটে সংসদে যাবার পথ প্রশস্ত,  চল আমিও এমপি হই’-এই পরিস্থিতি;  তখন ক্ষমতাসীন শিবিরে নমিনেশন ফরম কেনা-তোলা নিয়ে সেকি হৈ-হুল্লোড়! একপক্ষের মারামারি করে দু’জনের প্রাণহানি ও অন্যপক্ষের পুলিশের সংগে সংঘর্ষ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার মত ঘটনাও ঘটেছে!  কারণ, ফাঁকা মাঠে যদি গোলটা এবারও হয়েই যায়-এই আশা! এছাড়া রাজনীতি আজকাল সবচে’ লাভজনক প্লাটফরম হিসেবে রূপ নিয়েছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সবকিছুতেই একটা ’ছাড়’ পাওয়া যেতে পারে এই ভাবনা নতুন প্রজন্মের মনের মধ্যে জেঁকে বসেছে!  এই আশায় নমিনেশন পেতে ব্যবসায়ী-কৃষক, মৎস্যজীবি, নায়ক-নায়িকা, খেলোয়াড়, গায়ক-গায়িকা, প্রাক্তন আমলা-পুলিশ-সেনা, শিক্ষক, রিকশাশ্রমিক, সবার হুমড়ি খেয়ে পড়ার অবস্থা তৈরী হয়েছিল। সেটা ঘটেছে প্রায় সবগুলো দলে। এমন অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছিল, রাজনীতি আর নীতির রাজা নয়। মোহ-বাসনাত্যাগী প্রকৃত রাজনীতক ব্যক্তিত্ব আজ প্রায় উধাও হতে বসেছে। গেল দিগুলোতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যে- আবারো বুঝি সিংহভাগ অরাজনীতিকদের হাতে দেশের মহান সংসদের দায়িত্বভার¡ চলেই যাচ্ছে!  অনেকের এমন ধারণা হচ্ছিল, তাহলে এবার দেশের বারোটা বেজে যাবে। তাই দেশের প্রয়োজনে প্রকৃত রাজনীতিকদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসা উচিত।
এই আশঙ্কায় দেশের প্রকৃত রাজনীতিবেত্তাদের কারো কারো হৃদয়ে অশনি সংকেত শুরু হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার মানসে যে ক’জন এগিয়ে আসেন তাঁদের মধ্যে পুরোধা ৮২ বছর বয়স্ক বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। তিনি জনগণের নিজ নিজ ভোটাধিকার সঠিকভাব প্রদানের জন্য ভোটের দিন সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে  উপস্থিত থাকা ও  ‘পাহারা দেয়ার’ কথা বলেছেন। যাতে অন্যকেউ কেন্দ্রে গিয়ে চুপিসারে আগেই তার ভোট দিয়ে ফেলতে না পারে! এছাড়া এ বক্ত্যব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য হিসেবে ভোটকেন্দ্র ‘রক্ষা’ করার কথাও বলা হযেছে। একটি পক্ষ ভোট দিতে না পাবার আশঙ্কা ও জালিয়াতি ঠেকানোর জন্য ভাটকেন্দ্র ‘পাহারা দেয়া’ অন্যপক্ষ নিজের কষা ছঁকমত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হয়ে মোহভঙ্গ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন। অথবা, ক্ষমতাসীনরা যা কল্পনাও করেননি অথচ তাদের একজন অবহেলিত নেতার নেতৃত্বে শত প্রতিরোধ ডিঙিয়ে বাস্তবে রুপলাভ করেছে একটি বিরোধী প্রাচীর। যা নির্বাচন বর্জন ঠেকিয়ে আজ বিরোধী প্রাচীরকে মজবুত করে নির্বাচনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরী করেছে -এমন একটি  জনঐক্যকে ভয় পেয়ে আতঙ্কিত কন্ঠের আর্তনাদ হিসেবে ভাটকেন্দ্র ‘রক্ষা’ করার মত বিষয়গুলোর অবতারণা করেছেন। নিয়মানুযায়ী একাজ দু’টো তাঁদের কারুরই করার কথা নয়। এটা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আগেই বলেছি পূর্বে একাজের জন্য পাহারাদারগণ দেশের সেবক না হয়ে একটি দলের সেবাদাসের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আশা করি এবার সংসদ নির্বাচনে তাদের ভুল ভাঙবে, তাঁরা নিরপেক্ষ থাকবেন। মূলত: বর্তমান নির্বাচনী পরিবেশে কোন দলের পক্ষে কেন্দ্র ‘পাহারা দেয়া’ বা ‘রক্ষা’ করা উভয় শব্দই একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্যহীনতা ও জননিরাপত্তাহীনতা মূলক দুর্বল চরিত্র প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশন কি তাহলে আসলেই জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ? সাধারণ মানুষ তাহলে কিসে আস্থা ফিরে পাবে? এর দায়ভার ও সমাধান এমুহূর্তে অন্তত: নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে ও দিতে হবে। একথার সূত্র ধরে প্রসঙ্গত: আজকের এই লেখাটির শিরোনামে এই দু’ধরণের কথারই প্রতিধ্বনি করা হযেছে।
ড. কামাল হোসেন-এর আশঙ্কাটা অমূলক নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গেল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি সকাল এগারটার সময় একটি ভোটকেন্দ্রে আমার নিজের ভোট দিতে গিয়ে শুনি সকল ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে! আমি ভেতরে ঢুকে এর প্রতিবাদ করায় হঠাৎ একজন- স্যার এসেছেন সম্বোধন করে কোত্থেকে একটি  ব্যালটের গুচ্ছপাতার প্রায় শেষ হওয়া অংশ আনলো। সেখানে তিনটি ব্যালট পেপার ছিল। আমাকে ভোট দেয়ার সুযোগ দিলেও আমার পরে যারা কেন্দ্রে এসেছিলেন তারা ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকলেন। একসময় হট্টগোল বেধে গেল। নিরাপত্তাহীনতা দেখে আমি দ্রুত সরে যাবার চেষ্টা করলাম।
আমি সেদিন সকালেই এ ব্যাপারে কিছু গুঞ্জন শুনেছিলাম। কিন্তু বিষয়টা সত্যি হতে দেখে হতবাক হয়েছিলাম। পরে বিষয়টা ভোটকেন্দ্রের বাইরে এসে আরো বেশী ঘণীভুত হতে দেখেছি। সহকর্মীগণ অনেকে ভোট দিতে না পেরে উপস্থিত গণমাধ্যমের নিকট অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। গণমাধ্যমের লোকজনও যেন নির্বিকার। এমনকি বিবিসির টিভি ক্যামেরাসহ কিছু লোককে সেখানে দেখেছি।  পরে এর কোন সুরাহা হয়েছে বলে কোথাও শুনিনি। এই ছিল আমার গেল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা! তাই এমন বিষয়টি যেন এবারের সংসদ নির্বাচনে কোথাও না ঘটে সেজন্য আমি নিজেও এ লেখার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (নিক) কর্তৃপক্ষের নিকট জোর আবেদন জানাচ্ছি! এটি আমার একার অভিযোগ নয়। দেশের অনেক জায়গায় ঘটেছে বলে পরে জেনেছি।
মূল কথা তথা মনের কথা হলো- আমার ভোট আমি দিতে চাই। ভোট চলাকালীন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে কোন সময় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমি আমার ভোটাধিকার নিজ হাতে ব্যালটে সিল মেরে প্রয়োগ করতে চাই। এটা আমার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। কোন অসভ্য, বর্বর, লোভী, অসৎ ব্যক্তি বা ব্যক্তির নিযুক্ত কেউ আমার আগে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সেটা চুরি-জলিয়াতি করে অন্য কাউকে দিক সেটার বিরুদ্ধে আমার আজকের অবস্থান। আর ড. কামাল হোসেন জনমনের আশঙ্কা ও আতঙ্ক থেকে এ কথাটি উপলব্ধি করে  সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে বলেছেন বলে আমার মনে হয়।
আরেকজন ড. কামাল হোসেন-এর বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ভোটকেন্দ্র ’রক্ষা’ করার কথা বলেছেন। তবে এবার নির্বাচন কমিশন এ কাজ ও দায়িত্ত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন বলে শপথ নিয়েছেন।  এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে দেখলেই জনগণ খুশী হবে। এজন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সেবাদানকারী জনবলকে একটি বিশেষ দলের সেবাদাস না হয়ে দেশের সকল জনগণের জন্য জনসেবায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে নির্ভয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই দেশে এখনও বিদ্যমান তিন কোটি মানুষকে দারিদ্য্রসীমার আওতা থেকে মুক্তি দিয়ে একটি দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত ও শিক্ষিত বেকারমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবর্তন আসুক। এর মাধ্যমে দেশের আর্থ-পরি-সামাজিক অঙ্গনে টেকসই উন্নয়নের একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে উঠুক- এটাই সবার কাম্য হওয়া উচিত।

*ড. মো: ফখরুল ইসলাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top