logo
news image

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পিছনেই রয়েছে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা

নিউজ ডেস্ক: একটি দেশের অর্থনীতি অনেকটা নবজাতক শিশুর মতো। একটি শিশু পৃথিবীতে আসার পর তার একটি সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ দরকার যাতে সে একজন ভালো মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে। এজন্য অভিভাবক, পরিবারের সদস্যদের অন্ত  থাকে না তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য। একটি দেশের  অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার জন্যও প্রয়োজন সে রকম একটি পরিবেশ, যাতে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।

স্বাধীনতার পর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৫০টি দরিদ্র দেশের ভিতর বাংলাদেশ ছিল অন্যতম। তখন তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো এই দেশকে। কিন্তু বিগত নয় বছরে অর্থনৈতিক ভাবে বিস্ময়কর উন্নতির মাধ্যমে উন্নত বিশ্বকে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে এই দেশ। সম্প্রতি  দ্যা ইকোনোমিস্ট ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা  হয়েছে  ক্রমাগত দারিদ্র্য কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া শীর্ষ চার দেশের সাথে বাংলাদেশের নাম রয়েছে প্রথম স্থানে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিস্ট ফোরাম ৭৪টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে ৪৬তম অবস্থান থেকে  ৩৮ তম অবস্থানে রেখেছে। শুধু তাই নয় দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়েছে অগ্রগতি।

২০১৫ সাল থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে লেগেছে নতুনত্বের হাওয়া। উন্নয়নের পাল তুলে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক খাত। এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

দেশের বেশ কিছু  শিল্প নিয়ে তৈরী হয় দেশের অর্থনৈতিক খাত।  স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছে পাট শিল্প ও পোশাক শিল্প। যদিও এই অগ্রযাত্রায় পোশাক শিল্পের অবদানই সব থেকে বেশি। কিছু কুচক্রী রাজনৈতিক মহলের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য থমকে গিয়েছিলো দেশের অর্থনৈতিক চাকা। রাজনৈতিক কোন্দল , হরতাল, মারামারির জন্য  বিশ্ববাজারে নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ।

দেশের পোশাক শিল্প অনেকটা রফতানিমুখী। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য অনেক ক্রেতা সংস্থা  ক্রয়াদেশ বাতিল করেছিল। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল আমাদের দেশে তৈরী পণ্যের উপর থেকে। কিন্তু গত এক দশকে বিশেষ করে  ২০১৫ সাল থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে দেশের বিভিন্ন খাতে।

দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ঔষধ শিল্প। বিশ্বের উন্নত বিভিন্ন দেশ বর্তমানে আস্থা রাখছে আমাদের দেশে উৎপাদিত ঔষধের  উপর। রেমিট্যান্স খাতও এগিয়ে চলছে স্বমহিমায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০ টি দেশের মধ্যে আগের চেয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে ১২৮ তম অবস্থানে রয়েছে।

বর্তমানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশের অর্থনীতি বিকাশ লাভ করেছে। শুধু তাই নয় অদম্য উন্নত এই দেশের নাম আজ উচ্চারিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, যা  বাংলাদেশকে জায়গা করে দিয়েছে বিশ্ব মানচিত্রের অনন্য জায়গায়।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top