প্রাগৈতিহাসিক রোদন
অাব্দুল মতিন
এ
জগতের কত স্মৃতি রেখে গেলাম পেনড্রাইভে ; জীবনের পেনড্রাইভে। পাস ওয়ার্ডে
লেগে থাকা মৃত্যু দিয়ে প্রতিনিয়ত দেখি ঠিক অাছে কিনা; এন্টি ভাইরাসে
সুরক্ষিত রাখি তারে।
সজ্ঞান জীবনের কঠিন বোঝা কোথায় রাখি? কার কাছে রাখি? কে দিবে মনের প্রশ্নের শান্তনায় জবাব ?
বুকের সৌন্দর্য ভেঙ্গে গেলে পূর্বপূরুষের খনন করা দীঘি, পুকুরের মাটি হয়ে উঠে ভিটা।
বসত বাড়ি মিলে হয়ে উঠে গ্রাম। গ্রাম থেকে দেশ,সাথে পতিতা শহর। বিশ্বগ্রাম অামাকে ভাবায় ছিন্নমূল শিশুর ক্ষুধার জ্বালার মতো।
মাঝে
মাঝে গন্ধর্ব বিয়েতে সংসার সাজাই মনে,অানমনে হে প্রিয়তমা । তোমার সাথে
বিট্রে করি এই অামি! তবু দিন শেষে তোমার ঘাটে ভিড়ে বিবর্ণ নৌকা নিয়ে এই
মাঝি।
বিলীন রাজা অার রাজ্যের পতন খুঁজি নদীর ভাঙ্গনের বেদনায়।অামার পূর্বপু্রুষের গায়ের গন্ধে।
একদিন অামাকে খুৃঁজবে তুমি ।সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর তান্ডব নৃত্যে বেলকুনিতে উড়ে পড়া ডালের পাতায় ।
বন্যায় ভাসিয়ে নেওয়া জলের চোখে । অামার রেখে যাওয়া পান্ডুলিপির পেনড্রাইভে.....।
কেঁদোনা
সখী। পরশীর সাময়িক অশ্রুপাতে হয়োনা শরীক ; কোন ছলনায়। মাটি উর্বর হলেই
মানুষ জন্মস্থানের মায়া দেখায়। ভুলে যায় পর্বত অার সমুদ্রের টানে গঙ্গার
প্রাগৈতিহাসিক রোদনের দিন।
সেই রোদনই হয়তে করেছি অামি এক জীবনে..।
কবি: অধ্যক্ষ,শাহজালাল মহাবিদ্যালয়, জগন্নাথপুর,সুনামগঞ্জ।
সাম্প্রতিক মন্তব্য